ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বিজয়নগরে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে সতর্কতা জোরদার-যৌথ বাহিনীর। তরী বাংলাদেশ এর আয়োজনে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের নদ-নদী’ শীর্ষক আলোচনা সভা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে জামায়াতের গণমিছিল। যেখানে পুলিশ আছে সেখানে অপরাধী থাকতে পারবে না:পুলিশ সুপার। মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ. ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত। কসবায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় কোনো প্রেক্ষাপট হলে নির্বাচন পেছানোর বিবেচনা করবে কমিশন-সরকার- নুরুল হক নূর। আজ আখাউড়া মুক্ত দিবস। ভারতে পালিয়েও আটক কান্দিপাড়ার লায়ন শাকিল।
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলপথ অবরোধ প্রশাসনের অনুরোধে স্থগিত।

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৮:০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৪১১ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং ঢাকা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলপথে একটি বিশেষ ট্রেন চালু ও ট্রেনের আসন বাড়ানোসহ কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে শুক্রবার সাকালে রেলপথ অবরোধ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিক্ষুব্ধ জনতা।

 (শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সম্মিলিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক,সেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও অংশ নেন।

এ অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস আখাউড়া স্টেশনে আটকা পড়ে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, দেশের পূর্বাঞ্চলের রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন।রাজস্ব আয়ের দিক থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এখান থেকে ৬-৭ হাজার যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। কিন্তু এত পরিমাণ যাত্রীর তুলনায় টিকিট সংখ্যা খুবই কম। যার ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।দ্রুত ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে নতুন একটি ট্রেন চালু ও আন্তঃনগর উপবন, বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং টিকিট কালোবাজারি বন্ধের দাবি জানান বক্তারা। এছাড়া ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেনের বিদ্যমান পুরাতন বগিগুলো সরিয়ে নতুন বগি সংযোজনেরও দাবি জানান তারা।

তারা আরো জানান,জেলাবাসী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন যাত্রাবিরতীর দাবি জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষ কেবল আশ্বাসেই দিন অতিবাহিত করেছে। ফলে বাধ্য হয়েই তাদেরকে রেলপথ অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি হাতে নিতে হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূইয়া জানান, আন্দোলনকারীরা প্রশাসনের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেন। তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়নগরে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে সতর্কতা জোরদার-যৌথ বাহিনীর।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলপথ অবরোধ প্রশাসনের অনুরোধে স্থগিত।

আপডেট সময় ০৮:০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং ঢাকা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলপথে একটি বিশেষ ট্রেন চালু ও ট্রেনের আসন বাড়ানোসহ কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে শুক্রবার সাকালে রেলপথ অবরোধ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিক্ষুব্ধ জনতা।

 (শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সম্মিলিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক,সেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও অংশ নেন।

এ অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস আখাউড়া স্টেশনে আটকা পড়ে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, দেশের পূর্বাঞ্চলের রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন।রাজস্ব আয়ের দিক থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এখান থেকে ৬-৭ হাজার যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। কিন্তু এত পরিমাণ যাত্রীর তুলনায় টিকিট সংখ্যা খুবই কম। যার ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।দ্রুত ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে নতুন একটি ট্রেন চালু ও আন্তঃনগর উপবন, বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং টিকিট কালোবাজারি বন্ধের দাবি জানান বক্তারা। এছাড়া ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেনের বিদ্যমান পুরাতন বগিগুলো সরিয়ে নতুন বগি সংযোজনেরও দাবি জানান তারা।

তারা আরো জানান,জেলাবাসী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন যাত্রাবিরতীর দাবি জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষ কেবল আশ্বাসেই দিন অতিবাহিত করেছে। ফলে বাধ্য হয়েই তাদেরকে রেলপথ অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি হাতে নিতে হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূইয়া জানান, আন্দোলনকারীরা প্রশাসনের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেন। তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।