ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিদায়ী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চেয়ে অন্য জেলায় আরো অনেক ভয়ংকর ভয়ংকর মারামারি হয়। বিশ জেলায় চাকরি করেছি, সেখানে দেখেছি। গোষ্ঠীগত দ্বন্ধ, এটা রেগুলার সব জায়গায় হয়। কিন্তু এটা বলে বলে এ জেলার মানুষকে নেগেটিভলি উপস্থাপন করা হয়। হাস্যরসের ভাব তৈরী করা হয়। মোবাইল খুললে, রিলসে দেখবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মারামারি। আসলে কি তাই ? আসলে কিন্তু তা না। আমার যখন এ জেলায় অর্ডার হয় তখন অনেকে বলেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া!, কেমনে সামলাবা হেন-তেন। এখানকার অফিসাররা যারা একবার চলে যান, তারা এখানে আরেকবার আসার জন্য উদগ্রীব থাকেন। কারণ তারা একবার বুঝে যান পরিবেশটা ঠিক ওই রকম নয়। শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে তাকে দেয়া বিদায় সংবর্ধনা তিনি একথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, আমি বারবার বলেছি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে যদি কেউ সংসার করতে না পারে বাংলাদেশের কোথাও সংসার করতে পারবেনা। এটা আমার নিজের দেখা। এজন্য আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদানের পর কোন কাজগুলো আমাকে করতে হবে এর অগ্রাধিকার তালিকা তৈরী করি। তাতে দেখা যায় এখানকার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়ক পথে যাতায়তে দুর্ভোগ লাগবে একাধিক আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করতে তার প্রচেষ্টার উল্লেখ করেন।
প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তাহমিনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রঞ্জন কুমার দে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া, এনডিসি শাহরিয়ার হাসান খান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু, সিনিয়র সদস্য মনজুরুল আলম আলম, সাবেক সহ- সভাপতি শেখ মোঃ সহিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সহ-সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম খান সাদাত,সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য ও আল আমিন শাহিন, সদস্য শাহাদত হোসেন, ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসককে ফুলের শুভেচ্ছা ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।বিদায়ী সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক 
















