ঢাকা , শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার পরিদর্শন করলেন এডিএম মুরাদ ছাত্রদল প্রার্থীদের পক্ষে পোস্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওসি প্রত্যাহার। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ” শীর্ষক মতবিনিময় সভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। নবীনগরে তুচ্ছ ঘটনায় কিশোরের দুই আঙুল কর্তন। বিজয়নগরে আসন সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ। মেধাবী উদ্ভাবক নাবিল এর পাশে দাঁড়ালেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান :তারেক রহমান।   ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল। বিজয়নগরে আসামী ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা, এএসআইসহ আহত ৬ পুলিশ। চুয়াডাঙ্গায় ধান কাটার মেশিন থেকে অজগর সাপ উদ্ধার  সহিংসতা অব্যাহত থাকলে শান্তিপূর্ন নির্বাচন কঠিন হবে:উপদেষ্টা শারমিন এস মোর্শেদ 
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

রুমিন ফারহানার মিথ্যাচার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন। 

Oplus_0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ন মুখ্য সংগঠক( দক্ষিনাঞ্চল) মোহাম্মদ আতাউল্লাহ অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, অখণ্ড বিজয়নগর রক্ষার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত শুনানিতে তিনি ও তার সহযোগীদের ওপর বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক রুমিন ফারহানার সমর্থকরা হামলা চালিয়েছেন এবং বিভিন্নভাবে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন।

আজ মঙ্গলবার(২৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টাই জেলা পৌর শহরস্থ দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ডে অস্থায়ী কার্যালয়ে এই প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আতাউল্লাহ জানান, গত ২৪ আগস্ট আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে শুনানি শুরু হওয়ার পর তিনি বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ডায়াসে দাঁড়ালে রুমিন ফারহানা তার আসন থেকে উঠে এসে আক্রমণের ইঙ্গিত দেন। এ সময় রুমিন ফারহানার অনুসারীরা তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। হামলায় বিজয়নগর উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল হক চৌধুরী ও জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক শেখ মুস্তফা সুমন গুরুতর আহত হন।

আতাউল্লাহ দাবি করেন, ঘটনাটি নির্বাচন কমিশনের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে ধরা আছে। তবে হামলার ভিডিওর কিছু অংশ বিকৃতভাবে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে তাকে উল্টো আক্রমণকারী হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ “মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”।

তিনি আরও বলেন, অখণ্ড বিজয়নগর রক্ষায় জনগণের দাবির ভিত্তিতেই তার পক্ষ থেকে ৩১ জুলাই সর্বপ্রথম কমিশনে লিখিত আপত্তি জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।

এদিকে, রুমিন ফারহানা সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে অভিযোগ করেন যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৩ আসনে এনসিপির নেতাদের টাকা দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আতাউল্লাহ বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ। আমাকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র হিসেবেই এমন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে অখণ্ড বিজয়নগর রক্ষা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রধান সমন্বয়কারী আজিজুল হক লিটন, কেন্দ্রীয় সংগঠক জিহান মাহমুদ, আক্কাস মীর, আতিকুর রহমান আপেল, শেখ আরিফ বিল্লাহ আজিজী, সাহিল আহমদ, বিন ইয়ামিন, জয়ন্তী বিশ্বাস, নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা এনসিপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার পরিদর্শন করলেন এডিএম মুরাদ

রুমিন ফারহানার মিথ্যাচার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন। 

আপডেট সময় ০২:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ন মুখ্য সংগঠক( দক্ষিনাঞ্চল) মোহাম্মদ আতাউল্লাহ অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, অখণ্ড বিজয়নগর রক্ষার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত শুনানিতে তিনি ও তার সহযোগীদের ওপর বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক রুমিন ফারহানার সমর্থকরা হামলা চালিয়েছেন এবং বিভিন্নভাবে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন।

আজ মঙ্গলবার(২৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টাই জেলা পৌর শহরস্থ দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ডে অস্থায়ী কার্যালয়ে এই প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আতাউল্লাহ জানান, গত ২৪ আগস্ট আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে শুনানি শুরু হওয়ার পর তিনি বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ডায়াসে দাঁড়ালে রুমিন ফারহানা তার আসন থেকে উঠে এসে আক্রমণের ইঙ্গিত দেন। এ সময় রুমিন ফারহানার অনুসারীরা তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। হামলায় বিজয়নগর উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল হক চৌধুরী ও জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক শেখ মুস্তফা সুমন গুরুতর আহত হন।

আতাউল্লাহ দাবি করেন, ঘটনাটি নির্বাচন কমিশনের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে ধরা আছে। তবে হামলার ভিডিওর কিছু অংশ বিকৃতভাবে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে তাকে উল্টো আক্রমণকারী হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ “মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”।

তিনি আরও বলেন, অখণ্ড বিজয়নগর রক্ষায় জনগণের দাবির ভিত্তিতেই তার পক্ষ থেকে ৩১ জুলাই সর্বপ্রথম কমিশনে লিখিত আপত্তি জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।

এদিকে, রুমিন ফারহানা সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে অভিযোগ করেন যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৩ আসনে এনসিপির নেতাদের টাকা দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আতাউল্লাহ বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ। আমাকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র হিসেবেই এমন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে অখণ্ড বিজয়নগর রক্ষা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রধান সমন্বয়কারী আজিজুল হক লিটন, কেন্দ্রীয় সংগঠক জিহান মাহমুদ, আক্কাস মীর, আতিকুর রহমান আপেল, শেখ আরিফ বিল্লাহ আজিজী, সাহিল আহমদ, বিন ইয়ামিন, জয়ন্তী বিশ্বাস, নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা এনসিপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।