ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বিজয়নগরে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে সতর্কতা জোরদার-যৌথ বাহিনীর। তরী বাংলাদেশ এর আয়োজনে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের নদ-নদী’ শীর্ষক আলোচনা সভা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে জামায়াতের গণমিছিল। যেখানে পুলিশ আছে সেখানে অপরাধী থাকতে পারবে না:পুলিশ সুপার। মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ. ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত। কসবায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় কোনো প্রেক্ষাপট হলে নির্বাচন পেছানোর বিবেচনা করবে কমিশন-সরকার- নুরুল হক নূর। আজ আখাউড়া মুক্ত দিবস। ভারতে পালিয়েও আটক কান্দিপাড়ার লায়ন শাকিল।
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

উপদেষ্টা মাহফুজকে বোতল ছুড়ে মারা সেই যুবকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় যাওয়ার পথে রাজধানীর কাকরাইলে তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান ধর্মঘট চলছিল। একপাশে প্ল্যাকার্ড, অন্যপাশে স্লোগান। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে যান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তার উদ্দেশ্য ছিল পরিস্থিতি বোঝা, তাদের কথা শোনা এবং আন্দোলনকারীদের দাবির সমর্থনে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা।

কিন্তু হঠাৎই ঘটে যায় এক ঘটনা, যা আন্দোলনের চরিত্রকে রূপ দেয় প্রতিহিংসার দিকে।একটি পানির বোতল ছুড়ে মারা হয় তথ্য উপদেষ্টার দিকে। ঘটনাটি মুহূর্তেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে, ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। বিশ্লেষণে দেখা যায়, বোতলটি ছুঁড়ে মারেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক হুসাইন।

 জানা গেছে, তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।তবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ইশতিয়াক বলেন, গতকালের ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে বা কাউকে আঘাত করার জন্য বোতল ছুঁড়িনি। বরং উত্তেজনার মধ্যে আকাশের দিকে ছুড়ে মেরেছিলাম। কাউকে অপমান করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।

এদিকে বোতল ছুড়ে মারার ভিডিও ভাইরাল হতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় এক ভিন্ন যুদ্ধ। নেটিজেনরা নানা প্রশ্ন ছুড়ে দেয়- কে এই ইশতিয়াক? ছাত্রলীগ? নাকি শিবির? নাকি কোনো অন্য রাজনৈতিক পরিচয়ের বাহক? তবে এইসব অভিযোগকে অস্বীকার করে ইশতিয়াক বলেন, আমি কোনো ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। কিছুদিন আগেও ‘জুলাই আন্দোলনে’ অংশ নেওয়ায় পুলিশ আমাকে পেটায়। অথচ এখন আমাকে ছাত্রলীগ বলে ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, নিজের পড়াশোনা চালাতে টিউশন করেন, পার্ট টাইম কাজ করেন। রাজনীতির জন্য সময় বের করাটা তার পক্ষে সম্ভব নয়।গতকালের ঘটনার পর তাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে কল দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে গেলে মব দিয়ে আমাকে হেনস্থা করার হুমকি দিচ্ছে অনেকে।

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়নগরে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে সতর্কতা জোরদার-যৌথ বাহিনীর।

উপদেষ্টা মাহফুজকে বোতল ছুড়ে মারা সেই যুবকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

আপডেট সময় ০৩:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় যাওয়ার পথে রাজধানীর কাকরাইলে তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান ধর্মঘট চলছিল। একপাশে প্ল্যাকার্ড, অন্যপাশে স্লোগান। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে যান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তার উদ্দেশ্য ছিল পরিস্থিতি বোঝা, তাদের কথা শোনা এবং আন্দোলনকারীদের দাবির সমর্থনে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা।

কিন্তু হঠাৎই ঘটে যায় এক ঘটনা, যা আন্দোলনের চরিত্রকে রূপ দেয় প্রতিহিংসার দিকে।একটি পানির বোতল ছুড়ে মারা হয় তথ্য উপদেষ্টার দিকে। ঘটনাটি মুহূর্তেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে, ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। বিশ্লেষণে দেখা যায়, বোতলটি ছুঁড়ে মারেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক হুসাইন।

 জানা গেছে, তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।তবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ইশতিয়াক বলেন, গতকালের ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে বা কাউকে আঘাত করার জন্য বোতল ছুঁড়িনি। বরং উত্তেজনার মধ্যে আকাশের দিকে ছুড়ে মেরেছিলাম। কাউকে অপমান করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।

এদিকে বোতল ছুড়ে মারার ভিডিও ভাইরাল হতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় এক ভিন্ন যুদ্ধ। নেটিজেনরা নানা প্রশ্ন ছুড়ে দেয়- কে এই ইশতিয়াক? ছাত্রলীগ? নাকি শিবির? নাকি কোনো অন্য রাজনৈতিক পরিচয়ের বাহক? তবে এইসব অভিযোগকে অস্বীকার করে ইশতিয়াক বলেন, আমি কোনো ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। কিছুদিন আগেও ‘জুলাই আন্দোলনে’ অংশ নেওয়ায় পুলিশ আমাকে পেটায়। অথচ এখন আমাকে ছাত্রলীগ বলে ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, নিজের পড়াশোনা চালাতে টিউশন করেন, পার্ট টাইম কাজ করেন। রাজনীতির জন্য সময় বের করাটা তার পক্ষে সম্ভব নয়।গতকালের ঘটনার পর তাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে কল দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে গেলে মব দিয়ে আমাকে হেনস্থা করার হুমকি দিচ্ছে অনেকে।

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫