ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুসলিম শিক্ষার দিশারী “আইনশৃঙ্খলায় কোনো ছাড় নয়”— সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে জেলা প্রশাসক। গ্রেফতারের পর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দিলীপের পদ স্থগিত। পেটিসে তেলাপোকা: শাহী বেকারিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নার্সেস এসোসিয়েশনের শাটডাউনে ভোগান্তি চরমে।। সাদ্দামের লাশ নিয়ে থানা ঘেরাও এলাকাবাসীর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেমিকার ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রকাশ্যে গু/লি/বর্ষণ: দুজন গু/লি/বিদ্ধ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কসবায় মানববন্ধন।
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

“আইনশৃঙ্খলায় কোনো ছাড় নয়”— সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে জেলা প্রশাসক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেছেন, ‘এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না’। আসন্ন নির্বাচনটা এখন প্রশাসনের বড় ধরনের অঙ্গীকার বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো চাই না, আইনশৃঙ্খলা খারাপ অবস্থায় যাক। পুলিশ সুপারও নতুন এসেছেন। তার সঙ্গেও কথা বলবো। সবার সাথে কথা বলে আইনশৃঙ্খলা ভালো রাখতে হবে। এতে কোনো ছাড় দেব না’।

শারমিন জাহান আক্তার বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। সেটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালর দায়িত্ব রয়েছে। আমি রাজনীতিবিদদের সাথে কথা বলেছি। আপনারাও চাচ্ছেন, সুন্দর নির্বাচন হোক। তাহলে দলের লোকজনকে হানাহানি, কাটাকাটি থেকে নিবৃত্ত রাখার ব্যবস্থা করেন’।

গত ১৬/১৭ বছর মানুষ ঠিকমতো ভোট দিতে পারেননি। মানুষের মনে এ নিয়ে কষ্ট আছে। নির্বাচনটাই তাই এখন আমাদের বড় ধরনের অঙ্গীকার। এর ফাঁকে আমাদের আরো অনেক কাজ করা উচিত’- বলেন তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রঞ্জন চন্দ্র দে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া। এছাড়া ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এহসান মুরাদ।

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা। বক্তব্য দেন সাংবাদিক মো. আরজু, খ আ ম রশিদুল ইসলাম, মনজুরুল আলম, পীযুষ কান্তি আচার্য, ইব্রাহিম খান সাদাত, দীপক চেধৈুরী বাপ্পী, নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, আল আমিন শাহিন, সৈয়দ মো. আকরাম, মজিবুর রহমান খান, শিহাব উদ্দিন বিপু, নজরুল ইসলাম শাহজাদা, উজ্জল চক্রবর্তী, সেলিম পারভেজ, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, শফিকুল ইসলাম, ফজলে রাব্বী প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদানের পর নজরে এসেছে, ময়লা-আবর্জনা, ধুলাবালি, রাস্তাঘাট ভালো না। এ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলেছি। রাস্তাঘাটের এই বেহাল অবস্থা কি জন্য, তা জানতে চেয়েছি। আসলে এখানে উন্নয়ন কাজ বেশি পরিমাণে চলমান। যতো দ্রুত সম্ভব কাজগুলো করা যায়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক পৌরসভা করেছি। কিন্তু আধুনিক ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কয়টা করেছি? আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে এটা সত্যি। যেখানে যেখানে গিয়েছি, সেখানেই ময়লা আর ময়লা। এখানে এতো বেশি পরিমাণ ময়লা হয়েছে যে, তা উদ্বেগের কারণ। এগুলো দ্রুত অপসারণ করতে হবে। শহর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজটা করতে হবে। পৌরসভার রাস্তা ও ড্রেন বড় করতে হবে’।

নদী থেকে ইজারাদাররা ইজারার শর্ত লঙ্ঘন করে  মাটি-বালি কাটায় প্রশাসন কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে বলেও জানান তিনি।

মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রেসক্লাবের নেতারা নতুন জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

 

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুসলিম শিক্ষার দিশারী

“আইনশৃঙ্খলায় কোনো ছাড় নয়”— সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে জেলা প্রশাসক।

আপডেট সময় ০৩:৫২:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেছেন, ‘এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না’। আসন্ন নির্বাচনটা এখন প্রশাসনের বড় ধরনের অঙ্গীকার বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো চাই না, আইনশৃঙ্খলা খারাপ অবস্থায় যাক। পুলিশ সুপারও নতুন এসেছেন। তার সঙ্গেও কথা বলবো। সবার সাথে কথা বলে আইনশৃঙ্খলা ভালো রাখতে হবে। এতে কোনো ছাড় দেব না’।

শারমিন জাহান আক্তার বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। সেটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালর দায়িত্ব রয়েছে। আমি রাজনীতিবিদদের সাথে কথা বলেছি। আপনারাও চাচ্ছেন, সুন্দর নির্বাচন হোক। তাহলে দলের লোকজনকে হানাহানি, কাটাকাটি থেকে নিবৃত্ত রাখার ব্যবস্থা করেন’।

গত ১৬/১৭ বছর মানুষ ঠিকমতো ভোট দিতে পারেননি। মানুষের মনে এ নিয়ে কষ্ট আছে। নির্বাচনটাই তাই এখন আমাদের বড় ধরনের অঙ্গীকার। এর ফাঁকে আমাদের আরো অনেক কাজ করা উচিত’- বলেন তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রঞ্জন চন্দ্র দে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া। এছাড়া ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এহসান মুরাদ।

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা। বক্তব্য দেন সাংবাদিক মো. আরজু, খ আ ম রশিদুল ইসলাম, মনজুরুল আলম, পীযুষ কান্তি আচার্য, ইব্রাহিম খান সাদাত, দীপক চেধৈুরী বাপ্পী, নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, আল আমিন শাহিন, সৈয়দ মো. আকরাম, মজিবুর রহমান খান, শিহাব উদ্দিন বিপু, নজরুল ইসলাম শাহজাদা, উজ্জল চক্রবর্তী, সেলিম পারভেজ, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, শফিকুল ইসলাম, ফজলে রাব্বী প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদানের পর নজরে এসেছে, ময়লা-আবর্জনা, ধুলাবালি, রাস্তাঘাট ভালো না। এ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলেছি। রাস্তাঘাটের এই বেহাল অবস্থা কি জন্য, তা জানতে চেয়েছি। আসলে এখানে উন্নয়ন কাজ বেশি পরিমাণে চলমান। যতো দ্রুত সম্ভব কাজগুলো করা যায়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক পৌরসভা করেছি। কিন্তু আধুনিক ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কয়টা করেছি? আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে এটা সত্যি। যেখানে যেখানে গিয়েছি, সেখানেই ময়লা আর ময়লা। এখানে এতো বেশি পরিমাণ ময়লা হয়েছে যে, তা উদ্বেগের কারণ। এগুলো দ্রুত অপসারণ করতে হবে। শহর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজটা করতে হবে। পৌরসভার রাস্তা ও ড্রেন বড় করতে হবে’।

নদী থেকে ইজারাদাররা ইজারার শর্ত লঙ্ঘন করে  মাটি-বালি কাটায় প্রশাসন কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে বলেও জানান তিনি।

মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রেসক্লাবের নেতারা নতুন জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

 

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫