ঢাকা , রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভারত সফর আঞ্চলিক শান্তির প্রয়াস: মুশফিকুর রহমান সরাইলে অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে জামায়াতের হুইলচেয়ার প্রদান । বিজয়নগরে পুলিশের অভিযানে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার। বিজয়নগরে লাঠির আঘাতে অটো রিকশা চালক খুন। কাফনের কাপড় পরে কসবা-আখাউড়ায় গণমিছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড: পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ। নবীনগরে সংঘর্ষের মূল হোতা রিফাত গ্রেপ্তার, অস্ত্র-গুলিসহ উদ্ধার। বিজয়নগরে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার, আটক ২। ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল অটোরিকশা চালকসহ যাত্রীর। সরাইলে দুই ভাইয়ের বিরোধে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২৫
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

কাফনের কাপড় পরে কসবা-আখাউড়ায় গণমিছিল।

Oplus_131072

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে আজ কসবা উপজেলা জুড়ে বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘গুম ফেরত নেতা’ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য কবীর আহমেদ ভূঁইয়াকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

কসবা উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও কসবা পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল, জাসাসসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এই গণমিছিলে অংশগ্রহণকারীরা কাফনের কাপড় পরে রাজপথে নেমে আসেন। মিছিলটি ছিল কসবার ইতিহাসে নজিরবিহীন—লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

গণমিছিলে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবারের পিপি এডভোকেট ফখরুদ্দিন আহমেদ খান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক স্বপন, কসবা পৌরসভা বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আইয়ুব খান, এবং উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, “দলীয় মনোনয়নের সম্ভাব্য তালিকায় ৯৩ বছর বয়সী, দীর্ঘদিন এলাকায় অনুপস্থিত মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত করে তৃণমূলের আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা হয়েছে।”
তারা অভিযোগ করেন, মুশফিকুর রহমান গত ১৭ বছর ধরে এলাকায় আসেননি, স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি এবং একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি দেশ টিভি অন্যায় ভাবে আওয়ামী লীগের সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। তার পিএস মোহাম্মদ আরিফ ২৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন, এবং তার বিরুদ্ধে এমপি থাকা অবস্থায় ‘১০ শতাংশ কমিশন বাণিজ্য’-এর অভিযোগও রয়েছে।

অন্যদিকে, বক্তারা কবীর আহমেদ ভূঁইয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক ত্যাগ ও জনসম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন,“বিএনপির দুঃসময়ে কবীর আহমেদ ভূঁইয়া নেতাকর্মীদের পাশে থেকে মানবতার সেবা করেছেন। মামলা-হামলা, নির্যাতনের সময় তিনি জেলে থাকা কর্মীদের পরিবারকে অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে সহায়তা করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ভূঁইয়া গ্লোবাল ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা ও কোভিড-১৯ এর সময় তিনি ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। প্রতিবছর হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করে থাকেন। কৃষি, মৎস্য ও স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, যুব উন্নয়ন এবং খেলাধুলার প্রসারে তিনি অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।”

তিনি কসবার তরুণ প্রজন্মকে মাদকমুক্ত রাখতে বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন, যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। পাশাপাশি তিনি বিদেশগামী শ্রমিকদের সহায়তায় কাজ করেছেন এবং বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন।

মিছিলে অংশগ্রহণকারী তৃণমূল নেতাকর্মীরা এক কণ্ঠে ঘোষণা দেন—

> “কবীর আহমেদ ভূঁইয়ার বিকল্প কাউকে আমরা মেনে নেব না। ত্যাগী ও জনগণনির্ভর এই নেতার হাতেই কসবা-আখাউড়া আসনে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত হবে।”

কসবা-আখাউড়া জুড়ে এদিনের গণমিছিল দলীয় ঐক্য ও তৃণমূলের দাবির এক নতুন বার্তা হিসেবে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কসবা আখাউড়ার জনসাধারণ মনে করেন তারা গত ১৭ বছর যাবত আওয়ামী দুশাসনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মাধ্যমে নির্যাতিত হয়েছেন। তারা আগে মুশফিকুর রহমানের শাসন দেখেছেন। অত্র অঞ্চল থেকে মশিউর রহমান তিনবার ইলেকশন করেছেন। একবার পাস করেছেন একবার ফেল করেছেন এবং একবার তিনি টেকনিক্যালি ফরম ফিলাপে ইচ্ছাকৃত ভুল করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছেন। কসবা আখাউড়ার জনগন এখন আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূইয়াকে নিরাপদ মনে করেন। সুতরাং এই আসনে কবীর আহমেদ ভূঁইয়াই যোগ্যপ্রার্থী বলে সবার ধারণা। সবাই তার উপরে আস্থা রাখতে চায়।
কসবা আখাউড়ার নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারে দিয়া বলেন যদি মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনা করা না হয় তাহলে তারা কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলবে।

 

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভারত সফর আঞ্চলিক শান্তির প্রয়াস: মুশফিকুর রহমান

কাফনের কাপড় পরে কসবা-আখাউড়ায় গণমিছিল।

আপডেট সময় ০২:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে আজ কসবা উপজেলা জুড়ে বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘গুম ফেরত নেতা’ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য কবীর আহমেদ ভূঁইয়াকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

কসবা উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও কসবা পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল, জাসাসসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এই গণমিছিলে অংশগ্রহণকারীরা কাফনের কাপড় পরে রাজপথে নেমে আসেন। মিছিলটি ছিল কসবার ইতিহাসে নজিরবিহীন—লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

গণমিছিলে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবারের পিপি এডভোকেট ফখরুদ্দিন আহমেদ খান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক স্বপন, কসবা পৌরসভা বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আইয়ুব খান, এবং উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, “দলীয় মনোনয়নের সম্ভাব্য তালিকায় ৯৩ বছর বয়সী, দীর্ঘদিন এলাকায় অনুপস্থিত মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত করে তৃণমূলের আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা হয়েছে।”
তারা অভিযোগ করেন, মুশফিকুর রহমান গত ১৭ বছর ধরে এলাকায় আসেননি, স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি এবং একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি দেশ টিভি অন্যায় ভাবে আওয়ামী লীগের সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। তার পিএস মোহাম্মদ আরিফ ২৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন, এবং তার বিরুদ্ধে এমপি থাকা অবস্থায় ‘১০ শতাংশ কমিশন বাণিজ্য’-এর অভিযোগও রয়েছে।

অন্যদিকে, বক্তারা কবীর আহমেদ ভূঁইয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক ত্যাগ ও জনসম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন,“বিএনপির দুঃসময়ে কবীর আহমেদ ভূঁইয়া নেতাকর্মীদের পাশে থেকে মানবতার সেবা করেছেন। মামলা-হামলা, নির্যাতনের সময় তিনি জেলে থাকা কর্মীদের পরিবারকে অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে সহায়তা করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ভূঁইয়া গ্লোবাল ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা ও কোভিড-১৯ এর সময় তিনি ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। প্রতিবছর হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করে থাকেন। কৃষি, মৎস্য ও স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, যুব উন্নয়ন এবং খেলাধুলার প্রসারে তিনি অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।”

তিনি কসবার তরুণ প্রজন্মকে মাদকমুক্ত রাখতে বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন, যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। পাশাপাশি তিনি বিদেশগামী শ্রমিকদের সহায়তায় কাজ করেছেন এবং বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন।

মিছিলে অংশগ্রহণকারী তৃণমূল নেতাকর্মীরা এক কণ্ঠে ঘোষণা দেন—

> “কবীর আহমেদ ভূঁইয়ার বিকল্প কাউকে আমরা মেনে নেব না। ত্যাগী ও জনগণনির্ভর এই নেতার হাতেই কসবা-আখাউড়া আসনে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত হবে।”

কসবা-আখাউড়া জুড়ে এদিনের গণমিছিল দলীয় ঐক্য ও তৃণমূলের দাবির এক নতুন বার্তা হিসেবে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কসবা আখাউড়ার জনসাধারণ মনে করেন তারা গত ১৭ বছর যাবত আওয়ামী দুশাসনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মাধ্যমে নির্যাতিত হয়েছেন। তারা আগে মুশফিকুর রহমানের শাসন দেখেছেন। অত্র অঞ্চল থেকে মশিউর রহমান তিনবার ইলেকশন করেছেন। একবার পাস করেছেন একবার ফেল করেছেন এবং একবার তিনি টেকনিক্যালি ফরম ফিলাপে ইচ্ছাকৃত ভুল করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছেন। কসবা আখাউড়ার জনগন এখন আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূইয়াকে নিরাপদ মনে করেন। সুতরাং এই আসনে কবীর আহমেদ ভূঁইয়াই যোগ্যপ্রার্থী বলে সবার ধারণা। সবাই তার উপরে আস্থা রাখতে চায়।
কসবা আখাউড়ার নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারে দিয়া বলেন যদি মনোনয়ন পুনঃ বিবেচনা করা না হয় তাহলে তারা কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলবে।

 

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫