ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের লাউর গ্রামের তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার জন্য ঘুম থেকে উঠে নিখোঁজ হন ফারজানা আক্তার জুঁই নামে এক কলেজ ছাত্রী। নিখোঁজ ফারজানা আক্তার জুঁই ওই গ্রামের আবুল হাসনাতের মেয়ে।সে এবছর এইচএসসি পরীক্ষা পাস করেছিল।গত পরশু রাতে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এলাকায় হন্নে হয়ে খুঁজেও মেলেনি তার কোন সন্ধান।
ঘটনার দুই দিন পর বাড়ির পাশে বিশাল ডোবায় ভেসে উঠে সেই যুবতির লাশ। স্থানীয় এক ব্যক্তি সেই ডোবাতে কচুরিপানা সংগ্রহ করতে গিয়ে একটি ভাসমান লাশ দেখতে পায়। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সকলের নজরে এলে শতশত মানুষ সেখানে জড়ো হয়।পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে সেটি নিখোঁজ ফারজানা আক্তার জুঁই এর লাশ।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।এই বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের তেমন কোন অভিযোগ না থাকলেও স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি বেশ কৌতূহল সৃষ্টি করছে,এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা তা নিয়েও চলছে গুঞ্জন।
তবে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আমরা লাশটি উদ্ধার করেছি,পরিবারের সদস্যদের তেমন কোন অভিযোগ নেই তারপরও আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি,আশাকরি ময়নাতদন্তের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫