ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং এক মেধাবী তরুণ উদ্ভাবক ও সামাজিক উদ্যোক্তা আহনাফ বিন আশরাফ নাবিল । নাবিল উদ্ভাবন করেছেন জল–বাতাস–মাটির দূষণ নির্ণায়ক স্মার্ট সেন্সর সিস্টেম ও তরুণদের সুরক্ষায় Guardian Angel অ্যাপ। তাঁর নেতৃত্বে BBX রোভার টিম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় স্বীকৃতি পেয়েছে। পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের Neotric Youth Summit 2025 ও তুরস্কের IIMUN-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনায় আসেন।তিনি Young Sparks of Bangladesh-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এবং RASA ও SACR-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
বৃহস্পতিবার(৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নাবিলের মেধাদীপ্ততায় অভিনন্দন জানিয়ে উপহার সামগ্রী প্রেরণ করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কলেজ পাড়ায় নাবিলের বাসায় এসে সেই উপহার প্রদান করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রেজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার ১৫ বছরে দেশের নদী-নালা, খাল বিল পাশ্ববর্তী দেশকে লিজ দিয়েছিল। শেখ হাসিনাকে ঠিকিয়ে রাখার স্বার্থে এবং ভারত যাতে সমর্থনকরে সে জন্য দেশকে উজাড় করে দিয়েছে। এদেশের সার্বভৌমত্বকে, আমাদের অহংকারকে উজাড় করে দিয়েছে। আমরা সেই জায়গা থেকে অনেকটা ফিরে এসেছি। আমাদেরকে সার্বিকভাবে ফিরে আসতে হবে।
কলেজপাড়ায় স্কুল শিক্ষার্থী আহনাফ বিন আশরাফ নাবিলকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া আর্থিক অনুদান হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে গেলেও তার রেখে যাওয়া দোসররা প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবস্থান করছে। তারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা এবং অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যর্থতা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা লোকরা নানা ফাঁদ ও ষড়যন্ত্র করছে। তবে জনগণের শক্তি সবচেয়ে বড়, যা শেখ হাসিনা কখনো অবজ্ঞা করতে পারেনি। অবশেষে জনগণ এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কাছে তাকে পরাজিত হতে হয়েছে। নতুন ষড়যন্ত্রেও তারা ব্যর্থ হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরবে। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রিজভী আরও বলেন, ‘সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সংশোধন হতে পারে, কিন্তু সংবিধান ও নির্বাচিত সংসদ ছাড়া কোনো কিছু আইন হিসেবে বিবেচিত হবে না। আমাদের আইনের শাসনের জন্য লড়াইয়ের চেতনাকে ব্যাহত করা যাবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল,সাধারণ সম্পাদক মোঃসিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সিনিয়র সহ সভাপতি জহিরুল হক খোকন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫