ঢাকা , সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণাবড়িয়ায় প্রথম নারী জেলা প্রশাসকের যোগদান। বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিক নিহত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতে অফিসাররা উদগ্রীব থাকেন—বিদায়ী সংবর্ধনায় ডিসি। কসবা-আখাউড়ায় জনমনে জনপ্রিয় কবীর আহমেদ ভুইয়া। বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভারত সফর আঞ্চলিক শান্তির প্রয়াস: মুশফিকুর রহমান সরাইলে অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে জামায়াতের হুইলচেয়ার প্রদান । বিজয়নগরে পুলিশের অভিযানে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার। বিজয়নগরে লাঠির আঘাতে অটো রিকশা চালক খুন। কাফনের কাপড় পরে কসবা-আখাউড়ায় গণমিছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড: পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ।
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

অবিভক্ত বিজয়নগর আসন সীমানা রক্ষার দাবিতে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ: দাবী একক আসনের।

অবিভক্ত বিজয়নগর ও ব্রাহ্মণববাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২( আশুগঞ্জ ও সরাইল)আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে জেলার বিজয়নগর উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (২০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০টায় ‍উপজেলার চান্দুরা বাজার এলাকায় বিজয়নগর সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক  ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও হেফাজত ইসলামী এবং এনসিপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন অংশ নেন। এ সময় ঢাকা সিলেট মহাসড়কে বিশাল যানযট সৃষ্টি হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে প্রায় ৯৬ হাজার ভোটার আছেন, যা উপজেলার মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক। দুই লক্ষাধিক ভোটারবিশিষ্ট উপজেলা একক সংসদীয় আসনের উপযুক্ত হলেও বছরের পর বছর ধরে এটিকে একবার সদর, একবার সরাইল, আবার কখনো নাসিরনগরের সঙ্গে যুক্ত করে অবহেলার শিকারে পরিণত করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বিজয়নগরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। নতুন করে সরাইল আসনের সঙ্গে তিনটি ইউনিয়ন যুক্ত করায় মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।

তিনটি ইউনিয়নকে আগের আসনে রাখার দাবিতে উপজেলার জামায়াতে ইসলামী,  বিএনপি  এবং এনসিপির নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে অখন্ড বিজয়নগর রক্ষায় একটি লিখিত আবেদন গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার এলাকার বাসিন্দা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি এড. ইমাম হোসেন  বলেন, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে চান্দুরা, বুধন্তি, হরষপুর ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২–এ যুক্ত করা হয়েছে, বিষয়টি খুবই হতাশাজনক। এতে উপজেলার উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং তাঁরা সুবিধাবঞ্চিত হবেন। আমাদের দাবি বিজয়নগরকে একক সংসদীয় আসন বা আগের আসনে রাখা হোক। কোনোভাবেই বিজয়নগরকে দ্বিখণ্ডিত করা যাবে না। আগামী ২৪ আগস্টে অখন্ড বিজয়নগরে পক্ষে রায় দিবেন নয়ত একক আসন দিবেন। অন্যথায় আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।

এছাড়াও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হোফাজতে ইসলামি বিজয়নগর উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা আফজাল হোসেন, জামায়াত নেতা শিহাব উদ্দিন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শিহাব সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি এনামুল হক ভাসারী, বিজয়নগর জাতীয়তাবাদি যুবদলের সাবেক নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাবেদুর রহমান জাবেদ, বিএনপির নেতা লিটন, রাষ্ট্র সরকার প্রমুখ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণাবড়িয়ায় প্রথম নারী জেলা প্রশাসকের যোগদান।

অবিভক্ত বিজয়নগর আসন সীমানা রক্ষার দাবিতে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ: দাবী একক আসনের।

আপডেট সময় ০৮:০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

অবিভক্ত বিজয়নগর ও ব্রাহ্মণববাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২( আশুগঞ্জ ও সরাইল)আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে জেলার বিজয়নগর উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (২০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০টায় ‍উপজেলার চান্দুরা বাজার এলাকায় বিজয়নগর সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক  ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও হেফাজত ইসলামী এবং এনসিপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন অংশ নেন। এ সময় ঢাকা সিলেট মহাসড়কে বিশাল যানযট সৃষ্টি হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে প্রায় ৯৬ হাজার ভোটার আছেন, যা উপজেলার মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক। দুই লক্ষাধিক ভোটারবিশিষ্ট উপজেলা একক সংসদীয় আসনের উপযুক্ত হলেও বছরের পর বছর ধরে এটিকে একবার সদর, একবার সরাইল, আবার কখনো নাসিরনগরের সঙ্গে যুক্ত করে অবহেলার শিকারে পরিণত করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বিজয়নগরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। নতুন করে সরাইল আসনের সঙ্গে তিনটি ইউনিয়ন যুক্ত করায় মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।

তিনটি ইউনিয়নকে আগের আসনে রাখার দাবিতে উপজেলার জামায়াতে ইসলামী,  বিএনপি  এবং এনসিপির নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে অখন্ড বিজয়নগর রক্ষায় একটি লিখিত আবেদন গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার এলাকার বাসিন্দা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি এড. ইমাম হোসেন  বলেন, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে চান্দুরা, বুধন্তি, হরষপুর ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২–এ যুক্ত করা হয়েছে, বিষয়টি খুবই হতাশাজনক। এতে উপজেলার উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং তাঁরা সুবিধাবঞ্চিত হবেন। আমাদের দাবি বিজয়নগরকে একক সংসদীয় আসন বা আগের আসনে রাখা হোক। কোনোভাবেই বিজয়নগরকে দ্বিখণ্ডিত করা যাবে না। আগামী ২৪ আগস্টে অখন্ড বিজয়নগরে পক্ষে রায় দিবেন নয়ত একক আসন দিবেন। অন্যথায় আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।

এছাড়াও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হোফাজতে ইসলামি বিজয়নগর উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা আফজাল হোসেন, জামায়াত নেতা শিহাব উদ্দিন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শিহাব সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি এনামুল হক ভাসারী, বিজয়নগর জাতীয়তাবাদি যুবদলের সাবেক নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাবেদুর রহমান জাবেদ, বিএনপির নেতা লিটন, রাষ্ট্র সরকার প্রমুখ।