ঢাকা , সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
প্রিয় পরিবারের ১৫০তম খাবার আয়োজনের মাইলফলক। বাঞ্ছারামপুরে পুত্রবধূর হাতুড়ি পেটায় শাশুড়ি খুন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানজটে আটকা সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ১৪ কেজি গাঁজাসহ তিন নারী মাদক কারবারি গ্রেফতার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। বিজয়নগরে অতিরিক্ত মদপানে দুইজনের মৃত্যু। নবীনগরে পানিতে ডুবে একই সঙ্গে ভাইবোনের মর্মান্তিক মৃত্যু। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জামায়াতের ৫ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল। নবীনগরে কলেজ ছাত্রীর দুইদিন পর লাশ ভেসে উঠেছে বাড়ির পাশে ডোবায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে মাদক বিরোধী আলোচনা সভা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত।
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রান্নার চুলার ধোঁয়া নিয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন।

Oplus_0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাটির চুলার ধোঁয়া বসতঘরে আসার জেরে ধরে হামলায় মো. মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিহতের অভিযোগ। তার ভাই, ভাতিজাসহ অন্যান্য স্বজনরা মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ নিহত মনিরের পরিবারের। নিহত মনির সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের উড়শিউড়ার নন্দ দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত খুরশিদ মিয়ার ছেলে।মনির পেশায় দিনমজুর ছিলেন।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে বড় ভাই বাবুল মিয়ার স্ত্রী জুবায়দা বেগম মাটির চুলা নিয়ে মনিরের বসতঘরের দরজার সামনে রান্না বসান। মাটির চুলার ধোঁয়া বসতঘরে প্রবেশ করলে মনির বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানান।

এতে বাবুলের স্ত্রী উচ্চ স্বরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করেন।মনির প্রতিবাদ করলে বাবুল মিয়ার ছেলে শাওন মিয়া এগিয়ে এসে চাচা মনিরের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাওন দা নিয়ে মনিরকে মারতে এগিয়ে আসলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় ভাই বাবুলসহ অন্যান্যরা মনিরের ওপর হামলা করেন।

স্থানীয় লোকজন মনিরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বেসরকারি সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে মনিরের মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রকীব উর রাজাসহ সদর থানা পুলিশ ওই হাসপাতালে গিয়ে বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নেন।

নিহতের স্ত্রী জুলেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘বসতঘরের সামনে মাটির চুলা এনে রান্না শুরু করেন বাবুল ভাইয়ের স্ত্রী‌। তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বকাঝকা করছিলেন।আমার স্বামী পাল্টা কথা বলেন। এতে ভাতিজা শাওন দা নিয়ে আমার স্বামীকে মারতে এগিয়ে আসে। স্বামীর বড় ভাই বাবুল ছেলেরে বলে বেশি করে মারতে। তখন বাকিরা লাঠি, কাঠ ও ইট দিয়ে মারধর করে।’

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে।

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রিয় পরিবারের ১৫০তম খাবার আয়োজনের মাইলফলক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রান্নার চুলার ধোঁয়া নিয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন।

আপডেট সময় ১০:৫০:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাটির চুলার ধোঁয়া বসতঘরে আসার জেরে ধরে হামলায় মো. মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিহতের অভিযোগ। তার ভাই, ভাতিজাসহ অন্যান্য স্বজনরা মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ নিহত মনিরের পরিবারের। নিহত মনির সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের উড়শিউড়ার নন্দ দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত খুরশিদ মিয়ার ছেলে।মনির পেশায় দিনমজুর ছিলেন।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে বড় ভাই বাবুল মিয়ার স্ত্রী জুবায়দা বেগম মাটির চুলা নিয়ে মনিরের বসতঘরের দরজার সামনে রান্না বসান। মাটির চুলার ধোঁয়া বসতঘরে প্রবেশ করলে মনির বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানান।

এতে বাবুলের স্ত্রী উচ্চ স্বরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করেন।মনির প্রতিবাদ করলে বাবুল মিয়ার ছেলে শাওন মিয়া এগিয়ে এসে চাচা মনিরের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাওন দা নিয়ে মনিরকে মারতে এগিয়ে আসলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় ভাই বাবুলসহ অন্যান্যরা মনিরের ওপর হামলা করেন।

স্থানীয় লোকজন মনিরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বেসরকারি সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে মনিরের মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রকীব উর রাজাসহ সদর থানা পুলিশ ওই হাসপাতালে গিয়ে বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নেন।

নিহতের স্ত্রী জুলেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘বসতঘরের সামনে মাটির চুলা এনে রান্না শুরু করেন বাবুল ভাইয়ের স্ত্রী‌। তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বকাঝকা করছিলেন।আমার স্বামী পাল্টা কথা বলেন। এতে ভাতিজা শাওন দা নিয়ে আমার স্বামীকে মারতে এগিয়ে আসে। স্বামীর বড় ভাই বাবুল ছেলেরে বলে বেশি করে মারতে। তখন বাকিরা লাঠি, কাঠ ও ইট দিয়ে মারধর করে।’

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে।

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫