ঢাকা , শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অন্তঃসত্ত্বা নারী সদস্যকে মারধর: এনসিপি নেতা আতাউল্লাহসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে জামায়াতের গণমিছিলে মানুষের ঢল। ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুসলিম শিক্ষার দিশারী “আইনশৃঙ্খলায় কোনো ছাড় নয়”— সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে জেলা প্রশাসক। গ্রেফতারের পর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দিলীপের পদ স্থগিত। পেটিসে তেলাপোকা: শাহী বেকারিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নার্সেস এসোসিয়েশনের শাটডাউনে ভোগান্তি চরমে।। সাদ্দামের লাশ নিয়ে থানা ঘেরাও এলাকাবাসীর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেমিকার ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রকাশ্যে গু/লি/বর্ষণ: দুজন গু/লি/বিদ্ধ।
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

টানা বর্ষণে আখাউড়ায় কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যা:ঝুঁকিতে কসবা।

Oplus_0

কয়েকদিন ভারি বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আকস্মিক এ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে নানা ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রশাসন সূত্র জানা যায়, বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে টানা বর্ষণে ও ত্রিপুরার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে ঢলের এ পানিতে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। কৃষকের সবজি ক্ষেতসহ ঢলের পানিতে পুকুর তলিয়ে ভেসে গেছে মাছ।

ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ এবং স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পানিবন্দিদের আশ্রয়কন্দ্রে নিয়ে গেছে।

অতিবৃষ্টির কারণে রোববার ভোর থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। ওপারের পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার সীমান্তবর্তী তিনটি ইউনিয়নের মোগড়া, মনিয়ন্দ ও দক্ষিণ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যালয় ও কাস্টমস হাউজ। এদিকে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের বন্দর এলাকার কিছু অংশেও উঠেছে পানি। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি আমদানি-রফতানিকারক বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে।টানা বর্ষণে আখাউড়া ও কসবা ঝুকিতে রয়েছে

স্থানীয়রা জানান, আখাউড়া উপজেলার হাওড়া নদীর বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে ভুগছেন নদী পাড়ের বাসিন্দা। স্থলবন্দর এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা কালন্দি খাল দিয়ে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি হু হু করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এতে করে উপজেলার সীমান্তঘেঁষা মোগড়া ইউনিয়ন ও দক্ষিণ ইউনিয়নের আখাউড়া-আগরতলা সড়কের দুপাশের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, রহিমপুর, সাহেবনগর, খলাপাড়া, উমেদপুর, সেনারবাদী, কুসুমবাড়ি, আওরারচর, ছয়ঘরিয়া, বাউতলা, দরুইন, বচিয়ারা, নোয়াপাড়া, নিলাখাত, টানুয়াপাড়া, ধাতুর পহেলা, চরনারায়নপুর ও আদমপুরসহ ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার মনিয়ন্দ ও ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা, চন্দ্রপুর, ধরখার গ্রাম, ভিনাউটি, ভবানীপুর, রুটি, খারকুট, মিনারকুট, কুড়িবিল, পদ্মবিল, টনকি, ইটনা, কর্নেল বাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম রাশেদুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আকস্মিক এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোঁজ খবর নিতেও শুরু করেছেন স্থানীয় প্রশাসন।

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

অন্তঃসত্ত্বা নারী সদস্যকে মারধর: এনসিপি নেতা আতাউল্লাহসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

টানা বর্ষণে আখাউড়ায় কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যা:ঝুঁকিতে কসবা।

আপডেট সময় ০৮:২৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

কয়েকদিন ভারি বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আকস্মিক এ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে নানা ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রশাসন সূত্র জানা যায়, বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে টানা বর্ষণে ও ত্রিপুরার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে ঢলের এ পানিতে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। কৃষকের সবজি ক্ষেতসহ ঢলের পানিতে পুকুর তলিয়ে ভেসে গেছে মাছ।

ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ এবং স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পানিবন্দিদের আশ্রয়কন্দ্রে নিয়ে গেছে।

অতিবৃষ্টির কারণে রোববার ভোর থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। ওপারের পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার সীমান্তবর্তী তিনটি ইউনিয়নের মোগড়া, মনিয়ন্দ ও দক্ষিণ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যালয় ও কাস্টমস হাউজ। এদিকে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের বন্দর এলাকার কিছু অংশেও উঠেছে পানি। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি আমদানি-রফতানিকারক বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে।টানা বর্ষণে আখাউড়া ও কসবা ঝুকিতে রয়েছে

স্থানীয়রা জানান, আখাউড়া উপজেলার হাওড়া নদীর বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে ভুগছেন নদী পাড়ের বাসিন্দা। স্থলবন্দর এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা কালন্দি খাল দিয়ে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি হু হু করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এতে করে উপজেলার সীমান্তঘেঁষা মোগড়া ইউনিয়ন ও দক্ষিণ ইউনিয়নের আখাউড়া-আগরতলা সড়কের দুপাশের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, রহিমপুর, সাহেবনগর, খলাপাড়া, উমেদপুর, সেনারবাদী, কুসুমবাড়ি, আওরারচর, ছয়ঘরিয়া, বাউতলা, দরুইন, বচিয়ারা, নোয়াপাড়া, নিলাখাত, টানুয়াপাড়া, ধাতুর পহেলা, চরনারায়নপুর ও আদমপুরসহ ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার মনিয়ন্দ ও ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা, চন্দ্রপুর, ধরখার গ্রাম, ভিনাউটি, ভবানীপুর, রুটি, খারকুট, মিনারকুট, কুড়িবিল, পদ্মবিল, টনকি, ইটনা, কর্নেল বাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম রাশেদুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আকস্মিক এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোঁজ খবর নিতেও শুরু করেছেন স্থানীয় প্রশাসন।

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫