ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রোগী সেজে ওষুধ নিতে গিয়ে ধরা খেয়েছে বেসরকারি হাসপাতালের এক কর্মচারী। মঙ্গলবার ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ (এসিজি) এর নিয়মিত পরিদর্শনকালে বিষয়টি ধরা পড়ে।ধরা পড়া মো: প্রিয় নামে ওই ব্যক্তিসহ আরও অনেকেই এভাবে অতিরিক্ত ওষুধ নিয়ে যান বলে তথ্য রয়েছে এসিজির কাছে।
এসিজি (স্বাস্থ্য) বিভাগের সদস্য ও তরী বাংলাদেশের আহবায়ক শামীম আহমেদ জানান, নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে তারা জেলা সদর হাসপাতালে যান। এ সময় এক ব্যক্তি পলিথিব ব্যাগ ভর্তি ওষুধ নিচ্ছেন দেখে সন্দেহ হয়। তখন তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোগী দেখানোর একটি স্লিপে তার নিজের নাম ও আরেকটিতে জাকিয়া নাম লেখা। একটি স্লিপে কক্ষ নং ৩০৭ ও আরেকটিতে ১১১ লেখা আছে।তবে ওই স্লিপে কোনো ওষুধ কিংবা রোগের ধরণ লেখা নেই। তখন প্রিয় নামে ওই ব্যক্তি জানান, সাদা কাগজের টোকেনে লেখা দিয়ে ওষুধ নিয়েছেন। ওই টোকেনে চিকিৎসকের নাম লেখা নেই। তবে একটি স্বাক্ষর রয়েছে।
শামীম আহমেদ আরও জানান, বিষয়টি ওষুধ বিতরণকারীদের অবহিত করা হলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তারা বলেছেন প্রেসক্রিশন স্লিপ দেখেই ওষুধ দেওয়ার নিয়ম। তবে অনেক সময় চিকিৎসকরা আলাদা কাগজে লিখে দিলে সেটা দিয়ে দেন।
এসিজি স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ক সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু জানান, সদর হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ তুলে ধরলে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তারপরও নানা ধরণের অনিয়ম নিয়মিত পরিদর্শনের সময় চোখে পড়ে। অতিরিক্ত ওষুধ লিখে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।
এ বিষয়ে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, আলাদা টোকেনেও অতিরিক্ত ওষুধ লেখা হয়েছে। এটি কে করেছেন, কেন করেছেন সেটি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫