ঢাকা , সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণাবড়িয়ায় প্রথম নারী জেলা প্রশাসকের যোগদান। বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিক নিহত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতে অফিসাররা উদগ্রীব থাকেন—বিদায়ী সংবর্ধনায় ডিসি। কসবা-আখাউড়ায় জনমনে জনপ্রিয় কবীর আহমেদ ভুইয়া। বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভারত সফর আঞ্চলিক শান্তির প্রয়াস: মুশফিকুর রহমান সরাইলে অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে জামায়াতের হুইলচেয়ার প্রদান । বিজয়নগরে পুলিশের অভিযানে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার। বিজয়নগরে লাঠির আঘাতে অটো রিকশা চালক খুন। কাফনের কাপড় পরে কসবা-আখাউড়ায় গণমিছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড: পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ।
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

রোগী সেজে সরকারি ঔষধ নিতে গিয়ে ধরা বেসরকারি হাসপাতালের কর্মচারী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রোগী সেজে ওষুধ নিতে গিয়ে ধরা খেয়েছে বেসরকারি হাসপাতালের এক কর্মচারী। মঙ্গলবার ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ (এসিজি) এর নিয়মিত পরিদর্শনকালে বিষয়টি ধরা পড়ে।ধরা পড়া মো: প্রিয় নামে ওই ব্যক্তিসহ আরও অনেকেই এভাবে অতিরিক্ত ওষুধ নিয়ে যান বলে তথ্য রয়েছে এসিজির কাছে।

এসিজি (স্বাস্থ্য) বিভাগের সদস্য ও তরী বাংলাদেশের আহবায়ক শামীম আহমেদ জানান, নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে তারা জেলা সদর হাসপাতালে যান। এ সময় এক ব্যক্তি পলিথিব ব্যাগ ভর্তি ওষুধ নিচ্ছেন দেখে সন্দেহ হয়। তখন তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোগী দেখানোর একটি স্লিপে তার নিজের নাম ও আরেকটিতে জাকিয়া নাম লেখা। একটি স্লিপে কক্ষ নং ৩০৭ ও আরেকটিতে ১১১ লেখা আছে।তবে ওই স্লিপে কোনো ওষুধ কিংবা রোগের ধরণ লেখা নেই। তখন প্রিয় নামে ওই ব্যক্তি জানান, সাদা কাগজের টোকেনে লেখা দিয়ে ওষুধ নিয়েছেন। ওই টোকেনে চিকিৎসকের নাম লেখা নেই। তবে একটি স্বাক্ষর রয়েছে।

শামীম আহমেদ আরও জানান, বিষয়টি ওষুধ বিতরণকারীদের অবহিত করা হলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তারা বলেছেন প্রেসক্রিশন স্লিপ দেখেই ওষুধ দেওয়ার নিয়ম। তবে অনেক সময় চিকিৎসকরা আলাদা কাগজে লিখে দিলে সেটা দিয়ে দেন।

এসিজি স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ক সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু জানান, সদর হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ তুলে ধরলে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তারপরও নানা ধরণের অনিয়ম নিয়মিত পরিদর্শনের সময় চোখে পড়ে। অতিরিক্ত ওষুধ লিখে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।

এ বিষয়ে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, আলাদা টোকেনেও অতিরিক্ত ওষুধ লেখা হয়েছে। এটি কে করেছেন, কেন করেছেন সেটি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণাবড়িয়ায় প্রথম নারী জেলা প্রশাসকের যোগদান।

রোগী সেজে সরকারি ঔষধ নিতে গিয়ে ধরা বেসরকারি হাসপাতালের কর্মচারী।

আপডেট সময় ০৩:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রোগী সেজে ওষুধ নিতে গিয়ে ধরা খেয়েছে বেসরকারি হাসপাতালের এক কর্মচারী। মঙ্গলবার ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ (এসিজি) এর নিয়মিত পরিদর্শনকালে বিষয়টি ধরা পড়ে।ধরা পড়া মো: প্রিয় নামে ওই ব্যক্তিসহ আরও অনেকেই এভাবে অতিরিক্ত ওষুধ নিয়ে যান বলে তথ্য রয়েছে এসিজির কাছে।

এসিজি (স্বাস্থ্য) বিভাগের সদস্য ও তরী বাংলাদেশের আহবায়ক শামীম আহমেদ জানান, নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে তারা জেলা সদর হাসপাতালে যান। এ সময় এক ব্যক্তি পলিথিব ব্যাগ ভর্তি ওষুধ নিচ্ছেন দেখে সন্দেহ হয়। তখন তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোগী দেখানোর একটি স্লিপে তার নিজের নাম ও আরেকটিতে জাকিয়া নাম লেখা। একটি স্লিপে কক্ষ নং ৩০৭ ও আরেকটিতে ১১১ লেখা আছে।তবে ওই স্লিপে কোনো ওষুধ কিংবা রোগের ধরণ লেখা নেই। তখন প্রিয় নামে ওই ব্যক্তি জানান, সাদা কাগজের টোকেনে লেখা দিয়ে ওষুধ নিয়েছেন। ওই টোকেনে চিকিৎসকের নাম লেখা নেই। তবে একটি স্বাক্ষর রয়েছে।

শামীম আহমেদ আরও জানান, বিষয়টি ওষুধ বিতরণকারীদের অবহিত করা হলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তারা বলেছেন প্রেসক্রিশন স্লিপ দেখেই ওষুধ দেওয়ার নিয়ম। তবে অনেক সময় চিকিৎসকরা আলাদা কাগজে লিখে দিলে সেটা দিয়ে দেন।

এসিজি স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ক সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু জানান, সদর হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ তুলে ধরলে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তারপরও নানা ধরণের অনিয়ম নিয়মিত পরিদর্শনের সময় চোখে পড়ে। অতিরিক্ত ওষুধ লিখে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।

এ বিষয়ে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, আলাদা টোকেনেও অতিরিক্ত ওষুধ লেখা হয়েছে। এটি কে করেছেন, কেন করেছেন সেটি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫