কসবায় বিয়ের জন্য সকল আয়োজন সম্পন্ন। রান্নাবান্নাও শেষ। বর এবং বরযাত্রী আসলে প্রথা অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া, পরে বিয়ে। এ সময় হঠাৎ করে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম কনের বাড়িতে উপস্থিত। বিয়ে বন্ধ করে বাল্যবিবাহের দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন কণে পক্ষকে। বরযাত্রীর জন্য রান্না করা সকল খাবার বিতরণ করেন স্থানীয় একটি এতিমখানায়। রোববার (১১ মে) দুপুরে কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে বরের বাড়ী থেকে কেউ আসেনি।
জানা যায়, কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামের আনোয়ার মিয়ার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সাথে একই ইউনিয়নের বিনাউটি গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে তসলিম মিয়ার সাথে আজ বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ে উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয় এমনকি রান্নাবান্নাও শেষ। বর আসার সময় হয়ে এসেছে এমন সময় বেলা দেড়টার দিকে বাল্যবিবাহ হচ্ছে এরকম সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিবাহ বন্ধ করে দেন। এসময় তিনি কনের মাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। বরযাত্রী ও মেহমানদের জন্য রান্না করা খাবার জব্দ করে ব্রাহ্মণগ্রাম এতিমখানা ও সুন্নিয়া মাদ্রাসায় খাবার বিতরণ করেন।
চন্ডিদার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এই ছাত্রীটি যাতে আগামীকাল স্কুলে যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে তার এক শিক্ষক কে দায়িত্ব দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী হাকিম মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রামে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে কনের বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই। মেয়ের অভিভাবকদের বলা হয় বাল্যবিবাহ আইনত নিষিদ্ধ।
ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫