বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব:) আব্দুল্লাহিল আমান আযমী জানিয়েছেন, আয়না ঘরে বন্দিজীবনে তৃপ্তিসহকারে কোনদিন খেতে পারেননি। প্রতিদিনই ভাত ডাল রুটি দিতেন কিন্তু খাবারের মান ভালো ছিল না। এছাড়াও সামরিকবাহিনীতে পদোন্নতিতে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছিল আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার।
শুক্রবার(২মে) বিকাল সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে খেদমতে খালক্ক ট্রাস্টের সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন। পরে খেদমতে খালক ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আট বছর আয়নাঘরের বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে আসা ভাষা সৈনিক মরহুম অধ্যাপক গোলাম আজমের সুযোগ্য সন্তান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) আব্দুল্লাহিল আমান আযমীরকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
খেদমতে খালক ট্রাস্টের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ গোলাম সারোয়ারের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম সবুজের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ট্রাস্টের সদস্য রাইয়ান হামজা বিন সারোয়ার, ২৪’র গমঅভ্যুত্থানে শহিদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের পিতা শফিকুল ইসলাম, শহিদ জাহিদুজ্জামান তানভীরের পিতা শামসুজ্জামান, শহিদ কামরুল মিয়ার পিতা নান্নু মিয়া, শহিদ রফিকুল ইসলামের বোন সানিয়া আক্তার, নারায়ণপুর ডিএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,আমীর হোসেন, সাংবাদিক জালাল উদ্দিন মনির, ছাত্রনেতা মেহেদী হাসান প্রমুখ। পরে সংবর্ধিত ব্যক্তি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল(অব:) আব্দুল্লা হিল আমান আজমীরকে ক্রেষ্ট প্রদান করে নাগরিক সংবর্ধনা জানানো হয়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে গুমের শিকার হন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আজমের সন্তান আবদুল্লাহিল আমান আযমী। দীর্ঘ ৮ বছর পরে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট রাতে তিনি আয়নাঘর থেকে মুক্তি পান। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় তিনি বন্দি জীবনের বিভিন্ন লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণ/বার্তা/২৫