ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে যানজট ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে অতিষ্ট জনসাধারণ। 

Oplus_131072

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে যানজট কমাতে পৌরসভা থেকে ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও অটোরিক্সাকে যে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তা কোন কাজে আসছেনা। শহরে রিক্সার পরিমান কমাতে সীমিত পরিসরে রিক্সার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। পৌরসভা কতৃক ২০২৩ সালে সকল রিকশা অটোরিকশার জন্য নির্দিষ্ট যাত্রীদের ভাড়ার মুল্য ও তালিকা প্রকাশ হয়েছিল নামেই কাজে ও বাস্তবে ভিন্ন ও যাত্রীদের কাছ থেকে ব্যাটারি চালিত অটোতে সসর্বনিম্ন ১০ টাকা ও রিকশা সর্বনিম্ন ৩০ টাকা ভাড়া আদায় করছেন চালকরা।

 বর্তমানে অতিরিক্ত ভাড়া আর যানজট তৈরি হওয়ায় রাস্তায় যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই লাইসেন্স বিহীন রিক্সা ও সিএনজি চোখে পড়ে।শহরে যানজট তৈরির একমাত্র কারণ হিসাবে দেখা যাচ্ছে লাইসেন্স বিহীন রিকশা,অটো ও সিএনজি।যার ফলে মাঝে মাঝে ব্যাপক যানজট লেগে থাকে শহরের প্রাণকেন্দ্র কুমারশীল মোড়, টি, এ রোড,কাউতলী, মসজিদ রোডসহ আরো অনেক স্থানে। সচেতন মহল জানিয়েছেন অতিরিক্ত রিকশার লাইসেন্স ও এক লাইসেন্স দিয়ে কয়েকটা রিকশাও চলে শহরে যার ফলে লাইসেন্স করা রিকশা,অটো শহরে অতিরিক্ত দেখা যাচ্ছে।

তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা থেকে যে সীমিত পরিসরে লাইসেন্স দিয়েছেছিল  তা শেষ পর্যন্ত কি সীমিতই ছিল কিনা? কেননা, গত ৫ আগষ্টের আগে লাইসেন্স দেওয়ার সময় আগে ও পরে আওয়ামীলীগের কিছু নেতা টাকার বিনিময়ে এসব লাইসেন্স দিয়েছিলেন বলে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে।এবং এখনো পর্যন্ত তা বহাল রয়েছে।

আওয়ামী আমলে শহরে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ কমানোর জন্য এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পৌরসভা কর্তৃক তিন হাজার ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও ইজিবাইকের মালিককে নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে প্রতিটি গাড়ির জন্য আলাদা করে লাইসেন্স প্রদান করা হয়। যদিও এই পরিকল্পনাটি শুরু থেকেই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। কারন পৌরসভা থেকে অধিক সংখ্যক লাইসেন্সের চাহিদার বিপরীতে সীমিত সংখ্যক লাইসেন্স প্রদান করা হয়, যার বেশিরভাগই সরকারি দলের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রভাবশালী নেতারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। অনেক লাইসেন্স তখন পৌরসভার নির্ধারিত ফি- এর দ্বিগুণ এমনকি তিনগুণ বেশি দামেও হাতবদল হয়েছিল। যার ফলে সাধারণ চালক ও মালিকরা বিপাকে পড়ে যান।বর্তমানে শহরে অনেক ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দুই ৩ শত টাকাত বিনিময়ে ভাড়া নিয়ে চলছে ভরপুর।

সরজমিনে যানজটের চিত্র প্রত্যক্ষ করতে শহরের বিভিন্ন স্থানে সকাল দশটা থেকে দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘুরে ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সামনেই পার্কিং করে রেখেছেন সিএনজির। প্রায় একই দৃশ্য দেখা গেছে কালীবাড়ি,কাউতলী, মেড্ডা জেল রোডের কয়েকটি হাসপাতালের সামনে, ও শহরের প্রধান প্রটক কুমারশীল মোড়।বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরে যানযট যেন বাড়তে থাকে। তীব্র রোদের মধ্যে দীর্ঘক্ষন জ্যামে আটকে থেকে অনেকেই হাপিত্যেশ করছিলেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের দূর্দশা ছিল অবর্ননীয়। অনেককেই জ্যামে আটকে থাকতে থাকতে ধৈর্য হারিয়ে গাড়ি থেকে নেমে হেটে গন্তব্যে রওনা দিতেও দেখা যায়।অতিরিক্ত গাড়ির চাপ সামলাতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশদেরকেও অবস্থান থাকলেও সঠিক আইন প্রয়োগের ফলে যানজট এড়াতে রীতিমতো হিমশিম খেতে দেখা গেছে।

এছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার্থে পৌর এলাকার বিভিন্ন রুটের ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাড়ার তালিকা সমৃদ্ধ বিশালাকৃতির সাইনবোর্ডও টানানো হয় এবং তালিকায় নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট যানবাহনের লাইসেন্স বাতিল হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু তালিকায় নির্ধারিত ভাড়ার ব্যাপারে চালক ও যাত্রী কেউই বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখায়নি। নির্ধারিত ভাড়ার ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট কোন তদারকি না থাকায় সকল চালকগন একজোট হয়ে যাত্রীদেরকে জিম্মি করে অধিক ভাড়া আদায় করতে শুরু করে এবং এই অনিয়মই এখন নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। লাইসেন্স প্রদান করেই যেন পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করে ফেলেছে। অথচ যেই যানজট নিরসনের লক্ষ্যে এত ঢাকঢোল পিটিয়ে লাইসেন্স প্রকল্প গৃহীত হয়েছিল,প্রকল্পটি সেই যানজট নিরসন করতে পেরেছে কিনা এই প্রশ্ন এখন পুরো শহর জুড়ে।

যানজটের দূর্দশার ব্যাপারে বলতে গিয়ে তরী বাংলাদেশের আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন,হাইকোর্ট কর্তৃক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা অবৈধ ঘোষণা করা হলেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে আঁটকে যায়!

গরিবের পেটে লাথি বলে গরিবের রক্ত চুষে খাচ্ছে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী।  গরিবের প্যাডেল রিকশা জিম্মি হয়ে গেছে পুঁজিবাদের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায়।বেপরোয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এখন শহরের গলার কাঁটা!এ থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়। যেহেতু এখন রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় নেই এখনই উপযুক্ত সময় এ নৈরাজ্যের অবসানের। আমরা আশা করছি দায়িত্বশীলদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং উনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন।

পৌর সুপার মার্কেটের সামনে জ্যামে আটক কয়েকজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও রিকশা যাত্রী বলেন, রিকশায় উঠে নামলেই দিতে হয় ৩০ টাকা যেখানে ১০ টাকার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে পৌরসভা থেকে সেখানে রিকশা চালকরা নিচ্ছে ৩০ টাকা। অটোরিকশা টম টম দিয়ে যেখানে ৫ টাকা ভাড়া সেখানে ১০ টাকা নিচ্ছে এর কমে চালকরা যেতে চায় না তাই বাধ্য হয়েই যেতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে পৌরসভার কোনো মাথা ব্যাথা নেই কারণ দুর্ভোগে থাকলে সাধারণ মানুষ থাকবে তাদের ত কিছু যায় আসে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের যানজটের পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাফিক বিভাগের টি আই মীর আনোয়ার হোসেন জানান, ছোট শহর তাই অল্প রিক্সাতেও যানজট মনে হয়।  তবে আগের চেয়ে এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ নিয়মিত কাজ করে করে যাচ্ছে।অবৈধ রিকশা ও সিএনজির চলাচল বন্ধের জন্য আমাদের অভিযান চলছে।

উপরোক্ত বিষয়ে জানার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা শংকর কুমার বিশ্বাসকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ করেননি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে যানজট ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে অতিষ্ট জনসাধারণ। 

আপডেট সময় ০১:৩৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে যানজট কমাতে পৌরসভা থেকে ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও অটোরিক্সাকে যে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তা কোন কাজে আসছেনা। শহরে রিক্সার পরিমান কমাতে সীমিত পরিসরে রিক্সার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। পৌরসভা কতৃক ২০২৩ সালে সকল রিকশা অটোরিকশার জন্য নির্দিষ্ট যাত্রীদের ভাড়ার মুল্য ও তালিকা প্রকাশ হয়েছিল নামেই কাজে ও বাস্তবে ভিন্ন ও যাত্রীদের কাছ থেকে ব্যাটারি চালিত অটোতে সসর্বনিম্ন ১০ টাকা ও রিকশা সর্বনিম্ন ৩০ টাকা ভাড়া আদায় করছেন চালকরা।

 বর্তমানে অতিরিক্ত ভাড়া আর যানজট তৈরি হওয়ায় রাস্তায় যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই লাইসেন্স বিহীন রিক্সা ও সিএনজি চোখে পড়ে।শহরে যানজট তৈরির একমাত্র কারণ হিসাবে দেখা যাচ্ছে লাইসেন্স বিহীন রিকশা,অটো ও সিএনজি।যার ফলে মাঝে মাঝে ব্যাপক যানজট লেগে থাকে শহরের প্রাণকেন্দ্র কুমারশীল মোড়, টি, এ রোড,কাউতলী, মসজিদ রোডসহ আরো অনেক স্থানে। সচেতন মহল জানিয়েছেন অতিরিক্ত রিকশার লাইসেন্স ও এক লাইসেন্স দিয়ে কয়েকটা রিকশাও চলে শহরে যার ফলে লাইসেন্স করা রিকশা,অটো শহরে অতিরিক্ত দেখা যাচ্ছে।

তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা থেকে যে সীমিত পরিসরে লাইসেন্স দিয়েছেছিল  তা শেষ পর্যন্ত কি সীমিতই ছিল কিনা? কেননা, গত ৫ আগষ্টের আগে লাইসেন্স দেওয়ার সময় আগে ও পরে আওয়ামীলীগের কিছু নেতা টাকার বিনিময়ে এসব লাইসেন্স দিয়েছিলেন বলে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে।এবং এখনো পর্যন্ত তা বহাল রয়েছে।

আওয়ামী আমলে শহরে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ কমানোর জন্য এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পৌরসভা কর্তৃক তিন হাজার ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও ইজিবাইকের মালিককে নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে প্রতিটি গাড়ির জন্য আলাদা করে লাইসেন্স প্রদান করা হয়। যদিও এই পরিকল্পনাটি শুরু থেকেই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। কারন পৌরসভা থেকে অধিক সংখ্যক লাইসেন্সের চাহিদার বিপরীতে সীমিত সংখ্যক লাইসেন্স প্রদান করা হয়, যার বেশিরভাগই সরকারি দলের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রভাবশালী নেতারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। অনেক লাইসেন্স তখন পৌরসভার নির্ধারিত ফি- এর দ্বিগুণ এমনকি তিনগুণ বেশি দামেও হাতবদল হয়েছিল। যার ফলে সাধারণ চালক ও মালিকরা বিপাকে পড়ে যান।বর্তমানে শহরে অনেক ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দুই ৩ শত টাকাত বিনিময়ে ভাড়া নিয়ে চলছে ভরপুর।

সরজমিনে যানজটের চিত্র প্রত্যক্ষ করতে শহরের বিভিন্ন স্থানে সকাল দশটা থেকে দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘুরে ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সামনেই পার্কিং করে রেখেছেন সিএনজির। প্রায় একই দৃশ্য দেখা গেছে কালীবাড়ি,কাউতলী, মেড্ডা জেল রোডের কয়েকটি হাসপাতালের সামনে, ও শহরের প্রধান প্রটক কুমারশীল মোড়।বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরে যানযট যেন বাড়তে থাকে। তীব্র রোদের মধ্যে দীর্ঘক্ষন জ্যামে আটকে থেকে অনেকেই হাপিত্যেশ করছিলেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের দূর্দশা ছিল অবর্ননীয়। অনেককেই জ্যামে আটকে থাকতে থাকতে ধৈর্য হারিয়ে গাড়ি থেকে নেমে হেটে গন্তব্যে রওনা দিতেও দেখা যায়।অতিরিক্ত গাড়ির চাপ সামলাতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশদেরকেও অবস্থান থাকলেও সঠিক আইন প্রয়োগের ফলে যানজট এড়াতে রীতিমতো হিমশিম খেতে দেখা গেছে।

এছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার্থে পৌর এলাকার বিভিন্ন রুটের ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাড়ার তালিকা সমৃদ্ধ বিশালাকৃতির সাইনবোর্ডও টানানো হয় এবং তালিকায় নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট যানবাহনের লাইসেন্স বাতিল হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু তালিকায় নির্ধারিত ভাড়ার ব্যাপারে চালক ও যাত্রী কেউই বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখায়নি। নির্ধারিত ভাড়ার ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট কোন তদারকি না থাকায় সকল চালকগন একজোট হয়ে যাত্রীদেরকে জিম্মি করে অধিক ভাড়া আদায় করতে শুরু করে এবং এই অনিয়মই এখন নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। লাইসেন্স প্রদান করেই যেন পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করে ফেলেছে। অথচ যেই যানজট নিরসনের লক্ষ্যে এত ঢাকঢোল পিটিয়ে লাইসেন্স প্রকল্প গৃহীত হয়েছিল,প্রকল্পটি সেই যানজট নিরসন করতে পেরেছে কিনা এই প্রশ্ন এখন পুরো শহর জুড়ে।

যানজটের দূর্দশার ব্যাপারে বলতে গিয়ে তরী বাংলাদেশের আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন,হাইকোর্ট কর্তৃক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা অবৈধ ঘোষণা করা হলেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে আঁটকে যায়!

গরিবের পেটে লাথি বলে গরিবের রক্ত চুষে খাচ্ছে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী।  গরিবের প্যাডেল রিকশা জিম্মি হয়ে গেছে পুঁজিবাদের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায়।বেপরোয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এখন শহরের গলার কাঁটা!এ থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়। যেহেতু এখন রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় নেই এখনই উপযুক্ত সময় এ নৈরাজ্যের অবসানের। আমরা আশা করছি দায়িত্বশীলদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং উনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন।

পৌর সুপার মার্কেটের সামনে জ্যামে আটক কয়েকজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও রিকশা যাত্রী বলেন, রিকশায় উঠে নামলেই দিতে হয় ৩০ টাকা যেখানে ১০ টাকার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে পৌরসভা থেকে সেখানে রিকশা চালকরা নিচ্ছে ৩০ টাকা। অটোরিকশা টম টম দিয়ে যেখানে ৫ টাকা ভাড়া সেখানে ১০ টাকা নিচ্ছে এর কমে চালকরা যেতে চায় না তাই বাধ্য হয়েই যেতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে পৌরসভার কোনো মাথা ব্যাথা নেই কারণ দুর্ভোগে থাকলে সাধারণ মানুষ থাকবে তাদের ত কিছু যায় আসে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের যানজটের পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাফিক বিভাগের টি আই মীর আনোয়ার হোসেন জানান, ছোট শহর তাই অল্প রিক্সাতেও যানজট মনে হয়।  তবে আগের চেয়ে এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ নিয়মিত কাজ করে করে যাচ্ছে।অবৈধ রিকশা ও সিএনজির চলাচল বন্ধের জন্য আমাদের অভিযান চলছে।

উপরোক্ত বিষয়ে জানার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা শংকর কুমার বিশ্বাসকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ করেননি।