ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১০ এপ্রিল উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামে এঘটনা ঘটে। দরুইন গ্রামের বাসিন্দা আঃ করিম মাস্টার অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন দুলাল ও শফিকুল ইসলাম জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। ১৭ বছর যাবৎ বাড়িতে আসা যাওয়ার জন্য উত্তর পাশে ৬ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট রাস্তাটি যৌথভাবে ব্যবহার করে আসছি। রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণের প্রতিবাদ করায় আমার ওপর আক্রমণ করেছে। তাদের কাজে বাধা দিলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকির কারনে পরিবার নিয়ে আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছি, নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি।
করিম মাস্টারের স্ত্রী দিল আফরোজ বলেন, ওরা দুই ভাই (দুলাল ও শফিক) রাস্তাটি তাদের একক সম্পত্তি বলে যে দাবি করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই রাস্তাটি আমাদের উভর পরিবারের চলাচলের জন্য যৌথভাবে এজমালিক মালিকানাধীন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ দরবারেও আমাদেরকে যৌথভাবে রাস্তাটি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। উত্তর পাশ দিয়ে ৬ ফুট রাস্তা এজমালিক। ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমরা যৌথভাবে রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছি। আমার দলিলে চৌহদ্দিতেও আছে উত্তর দিকে ৬ ফুট প্রস্থের রাস্তা এজমালিক। ঘর থেকে বের হওয়ার গেইটের সামনে ওয়াল দিয়ে চলার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে।
এবিষয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৭ বছর যাবৎ আমি এই রাস্তায় পারা দিতে পারি নাই। আওয়ামীলীগ ৫ তারিখ যাওয়ার পর সর্দার মাতব্বররা সবাই মিলে আমার যায়গাটা বুঝ দিছে। এরপর আমি আমার যায়গাটা বাউন্ডারি দিছি।
স্থানীয়রা জানান, দুলাল ও শফিক এবং করিম মাস্টার ২০০৮ সালে ২৫২ দাগ থেকে ১০ শতক যায়গা কিনেছিল। করিম মাস্টার সামনের ৪ শতক এবং দুলাল ও শফিক পিছনের ৬ শতক নিয়েছিল। ১৭ বছর যাবৎ তারা এভাবে ভোগদখল ও বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। উত্তর দিকে তাদের চলাচলের জন্য রাস্তা ছিল।