ঢাকা , সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণাবড়িয়ায় প্রথম নারী জেলা প্রশাসকের যোগদান। বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিক নিহত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতে অফিসাররা উদগ্রীব থাকেন—বিদায়ী সংবর্ধনায় ডিসি। কসবা-আখাউড়ায় জনমনে জনপ্রিয় কবীর আহমেদ ভুইয়া। বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভারত সফর আঞ্চলিক শান্তির প্রয়াস: মুশফিকুর রহমান সরাইলে অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে জামায়াতের হুইলচেয়ার প্রদান । বিজয়নগরে পুলিশের অভিযানে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার। বিজয়নগরে লাঠির আঘাতে অটো রিকশা চালক খুন। কাফনের কাপড় পরে কসবা-আখাউড়ায় গণমিছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড: পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ।
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

কসবায় সাংবাদিকের ওপর হামলা, মোবাইল ও ক্যামেরা ভাংচুর 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা করে মোবাইল ও ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (১৩ এপ্রিল ) বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর বাজার নিজাম মার্কেটের খালী জায়গায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত লিয়াকত মাসুদ দৈনিক কালবেলার কসবা উপজেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি এবং উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের মৃত মুর্শিদ খানের ছেলে। হামলাকারীরা হলেন- উপজেলার গোপীনাথপুর মাস্টার পাড়া খাবার মোড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে দ্বীন ইসলাম, হাজী আব্দুল ছাত্তারের ছেলে জহির খান সর্দার এবং হোসেন মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন লিয়াকত মাসুদ। জানা যায়, লিয়াকত মাসুদ পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে দ্বীন ইসলাম, হোসেন মিয়া ও জহির খান সর্দার তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। লিয়াকত মাসুদের সাংবাদিকতার কার্ড গলা থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ক্যামেরা ও মোবাইল জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। মারধর করার জন্য তেড়ে আসে। সাংবাদিকতার কার্ড গলা থেকে খুলে জায়গা ত্যাগ করার হুমকী দেয়। প্রতিবাদ করলে লিয়াকত মাসুদের ওপর তারা আক্রমণ করে হত্যার চেষ্টা করে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের মোঃ নুরুল্লা ভূইয়া বলেন, “আমি আমার বোনের শশুড়-শাশুড়ী, ননদ এর বিষয়ে কসবা থানায় অভিযোগ দিলে দ্বীন ইসলাম বিষয়টি সমাধান করে দিবে বলে গোপীনাথপুরে একটি সভার আয়োজন করে। আমার বোনকে দ্বীন ইসলামের শালার নিকট প্রতারনা ও মিথ্যা কথা বলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করায়। দ্বীন ইসলামের শালা হোসাইন মাদক দ্রব্য সেবনকারী, বর্তমানে প্রবাসে আছে। দ্বীন ইসলাম ও তার পক্ষের লোকজনের কথার প্রতিবাদ করা মাত্র সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদ এর বুকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। জহির খান সর্দার তেড়ে এসে বলে, কতো ডজন সাংবাদিক জহির খান সর্দারের চা টানে। লিয়াকত মাসুদ কে হুমকি দিয়ে হোসেন মিয়া বলছে, তার ভাই সরেজমিন এর সম্পাদক, কতো সাংবাদিক দেখছি আসে যায়। তুই ভাল থাকতে চলে যা।”

সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদের মোবাইল ও ক্যামেরা ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে দ্বীন ইসলাম বলেন, “ওর সাথে যে কথা কাটাকাটি হইছে, মিলিয়ে দেয়া হইছে। ভাংচুরের যে বিষয়টা এটা মিথ্যা কথা বলছে। বিবাহের বিষয় নিয়ে পারিবারিকভাবে মিটিং এ সর্দার মাতব্বর যারা উপস্থিত ছিল তারা কথাবার্তা বলছে। এটার ফিনিশিং তারা দিবে, কথাবার্তা বলবে।” কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের বলেন, “কসবার সাংবাদিকদের থেকে ঘটনাটি শুনেছি। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫

 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণাবড়িয়ায় প্রথম নারী জেলা প্রশাসকের যোগদান।

কসবায় সাংবাদিকের ওপর হামলা, মোবাইল ও ক্যামেরা ভাংচুর 

আপডেট সময় ০৭:৫৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা করে মোবাইল ও ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (১৩ এপ্রিল ) বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর বাজার নিজাম মার্কেটের খালী জায়গায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত লিয়াকত মাসুদ দৈনিক কালবেলার কসবা উপজেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি এবং উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের মৃত মুর্শিদ খানের ছেলে। হামলাকারীরা হলেন- উপজেলার গোপীনাথপুর মাস্টার পাড়া খাবার মোড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে দ্বীন ইসলাম, হাজী আব্দুল ছাত্তারের ছেলে জহির খান সর্দার এবং হোসেন মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন লিয়াকত মাসুদ। জানা যায়, লিয়াকত মাসুদ পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে দ্বীন ইসলাম, হোসেন মিয়া ও জহির খান সর্দার তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। লিয়াকত মাসুদের সাংবাদিকতার কার্ড গলা থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ক্যামেরা ও মোবাইল জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। মারধর করার জন্য তেড়ে আসে। সাংবাদিকতার কার্ড গলা থেকে খুলে জায়গা ত্যাগ করার হুমকী দেয়। প্রতিবাদ করলে লিয়াকত মাসুদের ওপর তারা আক্রমণ করে হত্যার চেষ্টা করে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের মোঃ নুরুল্লা ভূইয়া বলেন, “আমি আমার বোনের শশুড়-শাশুড়ী, ননদ এর বিষয়ে কসবা থানায় অভিযোগ দিলে দ্বীন ইসলাম বিষয়টি সমাধান করে দিবে বলে গোপীনাথপুরে একটি সভার আয়োজন করে। আমার বোনকে দ্বীন ইসলামের শালার নিকট প্রতারনা ও মিথ্যা কথা বলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করায়। দ্বীন ইসলামের শালা হোসাইন মাদক দ্রব্য সেবনকারী, বর্তমানে প্রবাসে আছে। দ্বীন ইসলাম ও তার পক্ষের লোকজনের কথার প্রতিবাদ করা মাত্র সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদ এর বুকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। জহির খান সর্দার তেড়ে এসে বলে, কতো ডজন সাংবাদিক জহির খান সর্দারের চা টানে। লিয়াকত মাসুদ কে হুমকি দিয়ে হোসেন মিয়া বলছে, তার ভাই সরেজমিন এর সম্পাদক, কতো সাংবাদিক দেখছি আসে যায়। তুই ভাল থাকতে চলে যা।”

সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদের মোবাইল ও ক্যামেরা ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে দ্বীন ইসলাম বলেন, “ওর সাথে যে কথা কাটাকাটি হইছে, মিলিয়ে দেয়া হইছে। ভাংচুরের যে বিষয়টা এটা মিথ্যা কথা বলছে। বিবাহের বিষয় নিয়ে পারিবারিকভাবে মিটিং এ সর্দার মাতব্বর যারা উপস্থিত ছিল তারা কথাবার্তা বলছে। এটার ফিনিশিং তারা দিবে, কথাবার্তা বলবে।” কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের বলেন, “কসবার সাংবাদিকদের থেকে ঘটনাটি শুনেছি। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫