ঢাকা , শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অন্তঃসত্ত্বা নারী সদস্যকে মারধর: এনসিপি নেতা আতাউল্লাহসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে জামায়াতের গণমিছিলে মানুষের ঢল। ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুসলিম শিক্ষার দিশারী “আইনশৃঙ্খলায় কোনো ছাড় নয়”— সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে জেলা প্রশাসক। গ্রেফতারের পর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দিলীপের পদ স্থগিত। পেটিসে তেলাপোকা: শাহী বেকারিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নার্সেস এসোসিয়েশনের শাটডাউনে ভোগান্তি চরমে।। সাদ্দামের লাশ নিয়ে থানা ঘেরাও এলাকাবাসীর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেমিকার ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রকাশ্যে গু/লি/বর্ষণ: দুজন গু/লি/বিদ্ধ।
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

আখাউড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ইয়াদ মোল্লা খাদেমকে হত্যার অভিযোগ, আদালতে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ইয়াদ মোল্লা খাদেম কে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ মার্চ দুপুরে জেলার আখাউড়া পৌরসভার খড়মপুর তিতাস নদীর পাড়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করেছেন বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনার বিচার চেয়ে গত ৭ এপ্রিল নিহত ইয়াদ মোল্লা খাদেমের স্ত্রী আছমা বেগম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

মামলার আসামীরা হলেন-আখাউড়া পৌরসভার খড়মপুর গ্রামের মৃত হিরণ খান খাদেমের ছেলে সোহেল খান খাদেম, মৃত পৈলান খান খাদেমের ছেলে তাকদীর খান খাদেম, মৃত বাচ্চু খাদেমের ছেলে কাজী জামান খাদেম, মৃত সিরাজুল হক ওরফে এলু খাদেমের ছেলে   মোজাম্মেল হক খাদেম, মৃত জারু খান খাদেমের ছেলে হাসান খান খাদেম, মৃত করিম নেওয়াজ খান খাদেমের ছেলে ছালে নেওয়াজ খান খাদেম, মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে শাহজাদা খাদেম ও মৃত আলম খাদেমের ছেলে মিন্টু খাদেম।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীপক্ষ ও আসামীগণের মধ্যে পূর্ব থেকেই একাধিক মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। পূর্ব থেকেই আসামী সোহেল খান খাদেম নিহত ইয়াদ মোল্লা খাদেমের পরিবারের লোকজনকে খুন জখম করবে বলে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ সকালে নিহত ইয়াদ মোল্লা গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য তিতাস নদীর পাড়ে যান। দুপুরে স্থানীয় লোকজন ইয়াদ মোল্লার লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এছাড়া ইয়াদ মোল্লা নিহতের ১৫ দিন আগে সোহেল খান খাদেম প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন ইয়াদ মোল্লার স্বজনরা। প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে ইয়াদ মোল্লাকে হত্যা করে মহিষের গুঁতোয় মৃত্যু হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের লোকজনের।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত সোহেল খান খাদেম বলেন, “এবিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারব না।” অভিযুক্ত তাকদীর খান খাদেম বলেন, “এইটাতো সবাই জানে ইয়াদ মোল্লা কিভাবে মারা গেছে, ভিডিও ভাইরাল হইছে। আমরা শুনছি, ভিডিওর মধ্যে দেখছি একটা ছেলে লাইভ করছে, গরু না মহিষের গুঁতোয় মরছে, সে ভিডিওর মধ্যে বলছে, আমরাও দেখিনাই, সে দেখছে কিনা সেটা তো সে বলতে পারবে। মামলা দিলে তো আর কিছু করার নাই, দিছে ফেইস করতে হবে। ইয়াদ মোল্লা খাদেমের সাথে আমাদের পরিবারের বা আমাদের গোষ্ঠীর এরকম কোনো সম্পত্তির মামলা আমাদের বাপ দাদার আমলেও ছিল কিনা আমি জানিনা। তাদের সম্পত্তি এই গ্রামে আদৌ আছে কিনা এইটাও আমরা জানিনা। আমরা তো জানি তারা আরেকজনের যায়গায় থাকে। ইয়াদ মোল্লা থাকে শাহজাদা খাদেম, কাদের খাদেমের যায়গাতে। আমরা তো শুনছি, বাস্তবে তো কাগজপত্র দেখিনাই।  আমাদের সাথে ইয়াদ মোল্লার কোনো ঝগড়া ফ্যাসাদ নাই। তাদের সাথে আমার যায়গার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।”

আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনূর ইসলাম বলেন, “ খবর পেয়ে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে যায়। সুরতহাল কমপ্লিট করি। সুরতহাল করা কালীন তার শরীরের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সব যায়গা দেখা হয়। কিন্তু সেখানে কোনো ক্ষত কিংবা আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি একমাত্র বাম পায়ে হাটুর উপরে দুই ইঞ্চি লম্বা এবং দেড় ইঞ্চি গর্ত একটি কাঁটা দাগ দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায়, রক্তক্ষরণে সে মারা গেছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর কিভাবে মৃত্যু বরণ করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।”

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

অন্তঃসত্ত্বা নারী সদস্যকে মারধর: এনসিপি নেতা আতাউল্লাহসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আখাউড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ইয়াদ মোল্লা খাদেমকে হত্যার অভিযোগ, আদালতে মামলা

আপডেট সময় ০৬:৫৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ইয়াদ মোল্লা খাদেম কে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ মার্চ দুপুরে জেলার আখাউড়া পৌরসভার খড়মপুর তিতাস নদীর পাড়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করেছেন বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনার বিচার চেয়ে গত ৭ এপ্রিল নিহত ইয়াদ মোল্লা খাদেমের স্ত্রী আছমা বেগম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

মামলার আসামীরা হলেন-আখাউড়া পৌরসভার খড়মপুর গ্রামের মৃত হিরণ খান খাদেমের ছেলে সোহেল খান খাদেম, মৃত পৈলান খান খাদেমের ছেলে তাকদীর খান খাদেম, মৃত বাচ্চু খাদেমের ছেলে কাজী জামান খাদেম, মৃত সিরাজুল হক ওরফে এলু খাদেমের ছেলে   মোজাম্মেল হক খাদেম, মৃত জারু খান খাদেমের ছেলে হাসান খান খাদেম, মৃত করিম নেওয়াজ খান খাদেমের ছেলে ছালে নেওয়াজ খান খাদেম, মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে শাহজাদা খাদেম ও মৃত আলম খাদেমের ছেলে মিন্টু খাদেম।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীপক্ষ ও আসামীগণের মধ্যে পূর্ব থেকেই একাধিক মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। পূর্ব থেকেই আসামী সোহেল খান খাদেম নিহত ইয়াদ মোল্লা খাদেমের পরিবারের লোকজনকে খুন জখম করবে বলে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ সকালে নিহত ইয়াদ মোল্লা গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য তিতাস নদীর পাড়ে যান। দুপুরে স্থানীয় লোকজন ইয়াদ মোল্লার লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এছাড়া ইয়াদ মোল্লা নিহতের ১৫ দিন আগে সোহেল খান খাদেম প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন ইয়াদ মোল্লার স্বজনরা। প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে ইয়াদ মোল্লাকে হত্যা করে মহিষের গুঁতোয় মৃত্যু হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের লোকজনের।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত সোহেল খান খাদেম বলেন, “এবিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারব না।” অভিযুক্ত তাকদীর খান খাদেম বলেন, “এইটাতো সবাই জানে ইয়াদ মোল্লা কিভাবে মারা গেছে, ভিডিও ভাইরাল হইছে। আমরা শুনছি, ভিডিওর মধ্যে দেখছি একটা ছেলে লাইভ করছে, গরু না মহিষের গুঁতোয় মরছে, সে ভিডিওর মধ্যে বলছে, আমরাও দেখিনাই, সে দেখছে কিনা সেটা তো সে বলতে পারবে। মামলা দিলে তো আর কিছু করার নাই, দিছে ফেইস করতে হবে। ইয়াদ মোল্লা খাদেমের সাথে আমাদের পরিবারের বা আমাদের গোষ্ঠীর এরকম কোনো সম্পত্তির মামলা আমাদের বাপ দাদার আমলেও ছিল কিনা আমি জানিনা। তাদের সম্পত্তি এই গ্রামে আদৌ আছে কিনা এইটাও আমরা জানিনা। আমরা তো জানি তারা আরেকজনের যায়গায় থাকে। ইয়াদ মোল্লা থাকে শাহজাদা খাদেম, কাদের খাদেমের যায়গাতে। আমরা তো শুনছি, বাস্তবে তো কাগজপত্র দেখিনাই।  আমাদের সাথে ইয়াদ মোল্লার কোনো ঝগড়া ফ্যাসাদ নাই। তাদের সাথে আমার যায়গার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।”

আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনূর ইসলাম বলেন, “ খবর পেয়ে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে যায়। সুরতহাল কমপ্লিট করি। সুরতহাল করা কালীন তার শরীরের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সব যায়গা দেখা হয়। কিন্তু সেখানে কোনো ক্ষত কিংবা আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি একমাত্র বাম পায়ে হাটুর উপরে দুই ইঞ্চি লম্বা এবং দেড় ইঞ্চি গর্ত একটি কাঁটা দাগ দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায়, রক্তক্ষরণে সে মারা গেছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর কিভাবে মৃত্যু বরণ করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।”

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫