ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

বিজয়নগরে সীমান্তে মুন্না হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল। 

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নির্যাতনের পর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার (১০এপ্রিল) সকালে উপজেলার আউলিয়া বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বিএসএফ কর্তৃক সংগঠিত সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে দোষীদের বিচার দাবি করে।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে প্রতিবাদ সূচক ‘গত মঙ্গলবার ৮ এপ্রিল উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজা মুড়া গ্রামের মুরাদ হোসেন মুন্নাকে ভারতীয় বিএসএফ ডেকে নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যা করে ফেলে যায় এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় আগ্রাসনের বহিঃপ্রকাশ হল সীমান্ত হত্যা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে  হাজার হাজার  হত্যা সংগঠিত হয়েছে।মুরাদ হোসেন মুন্নাকে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যা করে ফেলে চলে যায় ভারতীয় বিএসএফ। কি অপরাধ ছিল তার? এ হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিত করে সীমান্তে হত্যা বন্ধ না করা পর্যন্ত ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা হবে বলে জানিয়েছেন বক্তারা।

তারা আরও বলেন,সারা দেশেই সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় বিএসএফ আমরা এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার সুষ্ঠু পায়নি। বিজিবি শুধু পতাকা বৈঠক করে নিহত বাংলাদেশীদের লাশ নিয়ে আসার কাজেই নিয়োজিত। বিজিবিকে আগের সেই শক্তি ফিরিয়ে দিতে হবে যাতে তারা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রক্তচক্ষু দেখিয়ে সীমান্তে অবস্থান করতে পারে নতুবা বিজিবিকে পুনরায় বাংলাদেশ রাইলফেলসে (বিডিআর) জাগ্রত করতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র ও হেফাজতে ইসলাম ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক  মুফতি জুনায়েদ কাসেমী বলেন, আমরা বাংলাদেশ সীমান্তে হওয়া প্রতিটি হত্যার বিচারের দাবি নিয়ে এসেছি। বিগত সময়ে বর্ডার গার্ডকে বস্তুত সীমান্তের দারোয়ান হিসেবে রাখা হয়েছে যে দারোয়ানের কোনো কর্তৃত্ব নাই। আমরা সীমান্তরক্ষীদের ক্ষমতায়নের জন্য এসেছি এবং আমাদের সীমান্ত রক্ষীদের হারানো ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে। গত মঙ্গলবার সেজা মুড়া গ্রামের মুরাদ হোসেন মুন্নাকে ভারতীয় বিএসএফ দ্বারা হত্যার প্রতিবাদ জানাই ও এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

বিজয়নগর আহলুস-সুন্নাহ্ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ সুমন হাজারী বলেন,আপনারা জানেন এই জুলাইয়ে আমরা আবার স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই শহীদ ফেলানী ও শহীদ আবরার ছিল আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দুর্বার প্রেরণা। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফেলানী ও আবরাররা বারবার ফিরে আসবে।সীমান্তে মুরাদ হোসেন মুন্নার মতো প্রতিটি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।ভারত আমাদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশীদের লাশ আর মাদক ছাড়া কিছু দেয়নি।

এছাড়াও এ বিক্ষোভ মিছিল অংশগ্রহণ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলার সভাপতি মাওঃ শফিকুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আলহাজ মাওঃ আফজাল হোসাইন যগ্ম সাধারন সম্পাদক  মুফতি রহমুতুল্লাহ কাসেমী। পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইয়াহিয়া খান ও সাবেক সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম শিশু ও বর্তমান সেক্রেটারী আব্দুল হক।জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক জিহান মাহমুদ ও সদস্য আফফান আহমাদ রানা,খায়রুল সরকার।বিজয়নগর  উপজেলা সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নিজাম উদ্দিন ও ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মোঃ শাহাদৎ হোসেন,এবং গণ অধিকার পরিষদের বিজয়নগর উপজেলার আহবায়ক শাহ আলমসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়নগরে সীমান্তে মুন্না হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল। 

আপডেট সময় ০৫:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নির্যাতনের পর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার (১০এপ্রিল) সকালে উপজেলার আউলিয়া বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বিএসএফ কর্তৃক সংগঠিত সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে দোষীদের বিচার দাবি করে।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে প্রতিবাদ সূচক ‘গত মঙ্গলবার ৮ এপ্রিল উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজা মুড়া গ্রামের মুরাদ হোসেন মুন্নাকে ভারতীয় বিএসএফ ডেকে নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যা করে ফেলে যায় এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় আগ্রাসনের বহিঃপ্রকাশ হল সীমান্ত হত্যা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে  হাজার হাজার  হত্যা সংগঠিত হয়েছে।মুরাদ হোসেন মুন্নাকে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যা করে ফেলে চলে যায় ভারতীয় বিএসএফ। কি অপরাধ ছিল তার? এ হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিত করে সীমান্তে হত্যা বন্ধ না করা পর্যন্ত ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা হবে বলে জানিয়েছেন বক্তারা।

তারা আরও বলেন,সারা দেশেই সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় বিএসএফ আমরা এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার সুষ্ঠু পায়নি। বিজিবি শুধু পতাকা বৈঠক করে নিহত বাংলাদেশীদের লাশ নিয়ে আসার কাজেই নিয়োজিত। বিজিবিকে আগের সেই শক্তি ফিরিয়ে দিতে হবে যাতে তারা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রক্তচক্ষু দেখিয়ে সীমান্তে অবস্থান করতে পারে নতুবা বিজিবিকে পুনরায় বাংলাদেশ রাইলফেলসে (বিডিআর) জাগ্রত করতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র ও হেফাজতে ইসলাম ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক  মুফতি জুনায়েদ কাসেমী বলেন, আমরা বাংলাদেশ সীমান্তে হওয়া প্রতিটি হত্যার বিচারের দাবি নিয়ে এসেছি। বিগত সময়ে বর্ডার গার্ডকে বস্তুত সীমান্তের দারোয়ান হিসেবে রাখা হয়েছে যে দারোয়ানের কোনো কর্তৃত্ব নাই। আমরা সীমান্তরক্ষীদের ক্ষমতায়নের জন্য এসেছি এবং আমাদের সীমান্ত রক্ষীদের হারানো ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে। গত মঙ্গলবার সেজা মুড়া গ্রামের মুরাদ হোসেন মুন্নাকে ভারতীয় বিএসএফ দ্বারা হত্যার প্রতিবাদ জানাই ও এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

বিজয়নগর আহলুস-সুন্নাহ্ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ সুমন হাজারী বলেন,আপনারা জানেন এই জুলাইয়ে আমরা আবার স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই শহীদ ফেলানী ও শহীদ আবরার ছিল আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দুর্বার প্রেরণা। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফেলানী ও আবরাররা বারবার ফিরে আসবে।সীমান্তে মুরাদ হোসেন মুন্নার মতো প্রতিটি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।ভারত আমাদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশীদের লাশ আর মাদক ছাড়া কিছু দেয়নি।

এছাড়াও এ বিক্ষোভ মিছিল অংশগ্রহণ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলার সভাপতি মাওঃ শফিকুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আলহাজ মাওঃ আফজাল হোসাইন যগ্ম সাধারন সম্পাদক  মুফতি রহমুতুল্লাহ কাসেমী। পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইয়াহিয়া খান ও সাবেক সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম শিশু ও বর্তমান সেক্রেটারী আব্দুল হক।জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক জিহান মাহমুদ ও সদস্য আফফান আহমাদ রানা,খায়রুল সরকার।বিজয়নগর  উপজেলা সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নিজাম উদ্দিন ও ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মোঃ শাহাদৎ হোসেন,এবং গণ অধিকার পরিষদের বিজয়নগর উপজেলার আহবায়ক শাহ আলমসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫