ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সীমান্তে মুরাদ হোসেন মুন্না নামের এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকালে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত মুরাদ হোসেন মুন্নার পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কে একাধিকবার কল করেও রিসিভ করেনি। তাই এ বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি মকুন্দুপুর বিজিবি থেকে।
নিহত মুরাদুল ইসলাম মুন্না জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামোড়া এলকার মৃত হাজী ফজলুর রহমানের ছেলে।
নিহত মুন্নার আপন বোনের ছেলে মো:বাপ্পি সরকার বলেন, মঙ্গলবার বিকালে মুন্না মামা তার কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন। তখন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সীমান্তের পিলার দেখতে এসে মামাকে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ কথোপকথন হয় তাদের তারপর মামাকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায় পরবর্তীতে মাগরিবের আগমুহূর্তে মামা মুন্না মিয়ার সারা শরীর ও মাথায় মারধর করে কাটা তারের বাইরে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে ফেলে রেখে যায়। সন্ধ্যায় স্বজনরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সেজা মুড়া গ্রামের রুমান বলেন,ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পিলার নম্বর 2008এর s6থেকেs7পিলারের কাছে ‘বিএসএফ ডেকে নিয়ে মুন্নাকে মারধর করে অবচেতন করে সীমান্তে ফেলে গেছে পরে স্থানীয়রা তাকে সেখান থেকে বাড়ি নিয়ে আসার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, মকুন্দুপুর বিজিবি ক্যাম্পে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ব্রাহ্মণ/বার্তা২৫