ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের স্মরণে ‘শহীদ সুজয় স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বিটঘরে নিজ গ্রামে এই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে, বিটঘর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভা ও শহীদ সুজয় শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শহীদ সুজয় স্তম্ভ কার্যনির্বাহী কমিটি।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শহীদ সুজয়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছানোয়ারা সুলতানা। এছাড়া অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন শহীদ সুজয়ের ছোট বোন ইশরাত জাহান এ্যানি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিউর রহমান তানভীর, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
অধ্যক্ষ ছানোয়ারা সুলতানা বলেন, ৫ আগস্টের আগে আমরা স্বাধীনভাবে কিছু করতে পারেনি। সুজয়রা আন্দোলন করেছে দেশের মানুষের জন্য। পাশে লাশ পড়তে দেখেও থেমে থাকেনি। দেশের জন্য সুজয় শহীদ হয়েছে। সে মারা গেলেও তার স্মৃতি আমাদের মনে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকালে ঢাকার আশুলিয়া থানার সামনে কলেজ শিক্ষার্থী তানজিল মাহমুদ সুজয়সহ কয়েকজনকে পুলিশ গুলি করে হত্যার পর পুলিশ ভ্যানে তুলে আগুনে জ্বলিয়ে দেওয়া হয়। পরে পকেটে থাকা আইডি কার্ড দেখে মরদেহ শনাক্ত করে শহীদ সুজয়ের পরিবার।