ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
কাফনের কাপড় পরে কসবা-আখাউড়ায় গণমিছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড: পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ। নবীনগরে সংঘর্ষের মূল হোতা রিফাত গ্রেপ্তার, অস্ত্র-গুলিসহ উদ্ধার। বিজয়নগরে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার, আটক ২। ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল অটোরিকশা চালকসহ যাত্রীর। সরাইলে দুই ভাইয়ের বিরোধে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২৫ বিজয়নগরে সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা পুলিশ সদস্যের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে রেলওয়ে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার, জিম্মি উদ্ধার। প্রেমের টানে চীন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়! চীনা যুবক ওয়াং তাও। সরাইলে তরী বাংলাদেশের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

গ্রেফতার এড়াতে পারলেও মৃত্যুকে এড়াতে পারেননি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার:৩দিন পর জানলো পরিবার:দাফন সম্পন্ন।

Oplus_131072

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এমদাদ সাগর (৩২) গ্রেপ্তার এড়াতে পলিয়ে ছিলেন ঢাকায়। ঢাকার শাহজাদপুর এলাকার সৌদিয়া নামক একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর খবর তিন দিন পর আজ বৃহস্পতিবার জানতে পেরেছে তাঁর পরিবার। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আজ ঢাকা গিয়ে স্বজনেরা তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।

নিহত এমদাদ সাগর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের মৃত জারু মিয়ার ছেলে। তিনি বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকে এমদাদ আত্মগোপ এ ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।

পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার ভাটারা থানার শাহজাদপুরে বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ের সৌদিয়া হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন মারা যান। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন এমদাদ সাগর। নাম ও পরিচয় শনাক্ত না করতে পারায় তাঁর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান ফোন করে বিজয়নগর থানা–পুলিশকে পাসপোর্টের ছবি পাঠিয়ে নিহত যুবকের বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেন।

এ বিষয়ে নিহত এমদাদ সাগরের মামা লিটন মুন্সি জানান, এমদাদের বড় ভাই জহিরুল ইসলাম লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের নিয়ে আসেন। এক মাস আগে এমদাদ মালয়েশিয়ায় যান। সেখান থেকে আবার শ্রীলঙ্কা যান। গত ২ ফেব্রুয়ারি দেশে এসে রাজধানীর শাহজাদপুরে সৌদিয়া হোটেলে উঠেছিলেন।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন আলী জানান, গুলশান থানা–পুলিশের পক্ষ থেকে বিজয়নগর থানা-পুলিশকে ফোন করে এবং পাসপোর্টের ছবি পাঠিয়ে নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বি/বা ২৫

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কাফনের কাপড় পরে কসবা-আখাউড়ায় গণমিছিল।

গ্রেফতার এড়াতে পারলেও মৃত্যুকে এড়াতে পারেননি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার:৩দিন পর জানলো পরিবার:দাফন সম্পন্ন।

আপডেট সময় ০৩:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এমদাদ সাগর (৩২) গ্রেপ্তার এড়াতে পলিয়ে ছিলেন ঢাকায়। ঢাকার শাহজাদপুর এলাকার সৌদিয়া নামক একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর খবর তিন দিন পর আজ বৃহস্পতিবার জানতে পেরেছে তাঁর পরিবার। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আজ ঢাকা গিয়ে স্বজনেরা তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।

নিহত এমদাদ সাগর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের মৃত জারু মিয়ার ছেলে। তিনি বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকে এমদাদ আত্মগোপ এ ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।

পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার ভাটারা থানার শাহজাদপুরে বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ের সৌদিয়া হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন মারা যান। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন এমদাদ সাগর। নাম ও পরিচয় শনাক্ত না করতে পারায় তাঁর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান ফোন করে বিজয়নগর থানা–পুলিশকে পাসপোর্টের ছবি পাঠিয়ে নিহত যুবকের বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেন।

এ বিষয়ে নিহত এমদাদ সাগরের মামা লিটন মুন্সি জানান, এমদাদের বড় ভাই জহিরুল ইসলাম লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের নিয়ে আসেন। এক মাস আগে এমদাদ মালয়েশিয়ায় যান। সেখান থেকে আবার শ্রীলঙ্কা যান। গত ২ ফেব্রুয়ারি দেশে এসে রাজধানীর শাহজাদপুরে সৌদিয়া হোটেলে উঠেছিলেন।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন আলী জানান, গুলশান থানা–পুলিশের পক্ষ থেকে বিজয়নগর থানা-পুলিশকে ফোন করে এবং পাসপোর্টের ছবি পাঠিয়ে নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বি/বা ২৫