ঢাকা , সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণাবড়িয়ায় প্রথম নারী জেলা প্রশাসকের যোগদান। বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিক নিহত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতে অফিসাররা উদগ্রীব থাকেন—বিদায়ী সংবর্ধনায় ডিসি। কসবা-আখাউড়ায় জনমনে জনপ্রিয় কবীর আহমেদ ভুইয়া। বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভারত সফর আঞ্চলিক শান্তির প্রয়াস: মুশফিকুর রহমান সরাইলে অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে জামায়াতের হুইলচেয়ার প্রদান । বিজয়নগরে পুলিশের অভিযানে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার। বিজয়নগরে লাঠির আঘাতে অটো রিকশা চালক খুন। কাফনের কাপড় পরে কসবা-আখাউড়ায় গণমিছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড: পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ।
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

কসবায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যা,স্বামী পলাতক।

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • ২২১ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছামিউল নামে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার (২ মার্চ) রাতে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত জোতি আক্তারের স্বামী ছামিউল ইসলাম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।

নিহতরা হলো কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামের মৃত রৌশন মিয়ার মেয়ে জোতি আক্তার (২০) ও স্মৃতি আক্তার।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা জামতলী গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে ছামিউল ইসলামের সাথে জোতি আক্তারের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়িতে মানসিক নির্যাতনের শিকার ছিলো জোতি। এক মাস আগে জোতি স্বামীসহ বাপের বাড়ি বেড়াতে আসে। স্বামী কয়েকদিন থেকে জোতিকে বাবার বাড়ি রেখে চলে যায়। এক সপ্তাহ আগে জোতির স্বামী ছামিউল ইসলাম আবারও শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার ( ৩মার্চ) সকালে জোতির ছোট ভাই জাহিদ মিয়া (১১) ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় তার দুলাভাই ঘরে নেই। পরে বড় দুই বোনকে ঘুম থেকে উঠতে ডাক দেয়। তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে জাহিদ আমাকে ডেকে আনে। আমি এসে দেখতে পাই খাটের উপর দুই বোনের মৃতদেহ পড়ে আছে। তাদের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে। তাদের ঘরের আলমারি খোলা । আলমারিতে থাকা অলংকার ও টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে গেছে ছামিউল। তাদের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশিরাও ছুটে এসে দেখতে পায় কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা দুই বোনের মৃতদেহ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। দুই বোন হত্যা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছ

কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধারনা করা হচ্ছে দুই বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘাতক স্বামী ছামিউল ইসলাম পালিয়ে গেছে। তাদের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। দুই বোন হত্যা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পলাতক ছামিউলকে গ্রেপ্তারের চলছে।

বি/বা/২৫

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণাবড়িয়ায় প্রথম নারী জেলা প্রশাসকের যোগদান।

কসবায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যা,স্বামী পলাতক।

আপডেট সময় ০৩:১৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছামিউল নামে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার (২ মার্চ) রাতে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত জোতি আক্তারের স্বামী ছামিউল ইসলাম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।

নিহতরা হলো কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামের মৃত রৌশন মিয়ার মেয়ে জোতি আক্তার (২০) ও স্মৃতি আক্তার।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা জামতলী গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে ছামিউল ইসলামের সাথে জোতি আক্তারের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়িতে মানসিক নির্যাতনের শিকার ছিলো জোতি। এক মাস আগে জোতি স্বামীসহ বাপের বাড়ি বেড়াতে আসে। স্বামী কয়েকদিন থেকে জোতিকে বাবার বাড়ি রেখে চলে যায়। এক সপ্তাহ আগে জোতির স্বামী ছামিউল ইসলাম আবারও শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার ( ৩মার্চ) সকালে জোতির ছোট ভাই জাহিদ মিয়া (১১) ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় তার দুলাভাই ঘরে নেই। পরে বড় দুই বোনকে ঘুম থেকে উঠতে ডাক দেয়। তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে জাহিদ আমাকে ডেকে আনে। আমি এসে দেখতে পাই খাটের উপর দুই বোনের মৃতদেহ পড়ে আছে। তাদের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে। তাদের ঘরের আলমারি খোলা । আলমারিতে থাকা অলংকার ও টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে গেছে ছামিউল। তাদের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশিরাও ছুটে এসে দেখতে পায় কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা দুই বোনের মৃতদেহ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। দুই বোন হত্যা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছ

কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধারনা করা হচ্ছে দুই বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘাতক স্বামী ছামিউল ইসলাম পালিয়ে গেছে। তাদের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। দুই বোন হত্যা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পলাতক ছামিউলকে গ্রেপ্তারের চলছে।

বি/বা/২৫