।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দ্বিতীয়বারের মতো ৩৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করে ভাগ্য বদলাচ্ছেন আকছিনা গ্রামের সৌখিন চাষি প্রবাস ফেরত লিটন মিয়া। গত বছর ভালো ফলন ও লাভ হওয়ায় এ বছর আরো বড় পরিসরে রঙিন ফুল কপি চাষ করেছে তিনি। কসবা থেকে নয়নপুর সড়কের পাশ দিয়ে গেলেই আকছিনা ঈদগাহের সাথে দেখা মিলবে তার এই শখের সবজি জমির।
লিটনের জমিতে বর্তমানে, হলুদ, বেগুনি, সবুজ ও সাদা রঙের ফুলকপি রয়েছে। যার মধ্যে সবুজ ফুলকপিকে ব্রোকলি নামেই চিনে সবাই।
এছাড়াও তার জমিতে বেগুনি ও সবুজ রঙের বাঁধাকপিও রয়েছে। বাহারি রঙের এ সকল ফুলকপি দেখতে ও ক্রয় করতে প্রতিদিনই তার জমিতে ভিড় করছে আশপাশের এলাকার মানুষ। প্রতিদিনই ৯০ থেকে ১০০টি ফুলকপি হারভেস্ট করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন তিনি, এ ছাড়াও বিভিন্ন যায়গা থেকে পাইকাররাও আসছে তার এই রঙিন ফুলকপি কিনতে।
লিটনের প্রতি পিস ফুলকপি পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। বাজারে পাওয়া সাধারন ফুলকপি থেকেও এ রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ বেশি ও সুস্বাদু বলে জানিয়েছে কৃষক লিটন মিয়া।
তিনি আরো জানান, গত বছর ২০ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করে ভালো লাভ পেয়েছি বিধায় এ বছর ৩৫ শতক জমিতে এর চাষ করেছি, আশা করি এ বছরও প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব।
কসবা উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, সৌখিন কৃষক লিটন মিয়াকে আমরা প্রতিনিয়ত প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি ও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আমরা তার পাশে আছি।