ঢাকা , সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণাবড়িয়ায় প্রথম নারী জেলা প্রশাসকের যোগদান। বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিক নিহত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতে অফিসাররা উদগ্রীব থাকেন—বিদায়ী সংবর্ধনায় ডিসি। কসবা-আখাউড়ায় জনমনে জনপ্রিয় কবীর আহমেদ ভুইয়া। বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভারত সফর আঞ্চলিক শান্তির প্রয়াস: মুশফিকুর রহমান সরাইলে অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে জামায়াতের হুইলচেয়ার প্রদান । বিজয়নগরে পুলিশের অভিযানে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার। বিজয়নগরে লাঠির আঘাতে অটো রিকশা চালক খুন। কাফনের কাপড় পরে কসবা-আখাউড়ায় গণমিছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড: পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ।
নোটিশ :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপডেট নিউজ থিমটি ক্রয় করতে আমাদের কল করুন 01732667364। আমাদের আরো নিউজ থিম দেখতে ভিজিট করুন www.themesbazar.com

ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় ও এনআইডি কার্ড প্রদানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন। 

  • নিজস্ব সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় ০৫:৫৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২১০ বার পড়া হয়েছে

ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পরিচয় যাচাইসহ এনআইডি কার্ড প্রদানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানববন্ধন করেছেন নারীরা। এছাড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন তারা। আজ (মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে এ নারী সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। স্মারকলিপিতে তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। 

বক্তারা জানান, ধর্মীয় কারণে ছবি তুলতে না পারায় এনআইডি কার্ড পাচ্ছেন না ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা অনেক নারী। এজন্য নাগরিক সেবা নিতে পারছেন না তারা। প্রায় ৩০ লাখ নারীর এনআইডি আটকে রয়েছে। গত ১৬ বছর নির্বাচন কমিশনের কতিপয় স্বৈরাচারী কর্মকর্তা মুখচ্ছবি না তোলার অজুহাতে তাদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছেন। ফলে এনআইডি কার্ড ছাড়া তারা নিজের জমি বিক্রি করতে পারছেন না, সরকারি ত্রাণ সহায়তাও নিতে পারছেন না।

এছাড়া সন্তানদের স্কুলেও ভর্তি করাতে সমস্যা হচ্ছে এনআইডি কার্ড না থাকার কারণে। তাই বৈষম্যহীন দেশ গঠনের অংশ হিসেবে মুখচ্ছবির বদলে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো আধুনিক পদ্ধতিতে পরিচয় যাচাইয়ের মাধ্যমে এনআইডি কার্ড প্রদানের দাবি জানান তারা।

পরে মানববন্ধন শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন মানববন্ধনকারীরা। এতে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে প্রথমত বিগত ১৬ বছর ধরে যে সমস্ত সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানসীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। দ্বিতীয়ত পর্দানসীন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুন্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা। এজন্য সকল ক্ষেত্রে পরিচয় শনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হবে। তৃতীয়ত পর্দানসীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় পুরুষ নয়, নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখতে হবে।

ব্রা/বা/২৫

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণাবড়িয়ায় প্রথম নারী জেলা প্রশাসকের যোগদান।

ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় ও এনআইডি কার্ড প্রদানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন। 

আপডেট সময় ০৫:৫৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পরিচয় যাচাইসহ এনআইডি কার্ড প্রদানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানববন্ধন করেছেন নারীরা। এছাড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন তারা। আজ (মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে এ নারী সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। স্মারকলিপিতে তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। 

বক্তারা জানান, ধর্মীয় কারণে ছবি তুলতে না পারায় এনআইডি কার্ড পাচ্ছেন না ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা অনেক নারী। এজন্য নাগরিক সেবা নিতে পারছেন না তারা। প্রায় ৩০ লাখ নারীর এনআইডি আটকে রয়েছে। গত ১৬ বছর নির্বাচন কমিশনের কতিপয় স্বৈরাচারী কর্মকর্তা মুখচ্ছবি না তোলার অজুহাতে তাদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছেন। ফলে এনআইডি কার্ড ছাড়া তারা নিজের জমি বিক্রি করতে পারছেন না, সরকারি ত্রাণ সহায়তাও নিতে পারছেন না।

এছাড়া সন্তানদের স্কুলেও ভর্তি করাতে সমস্যা হচ্ছে এনআইডি কার্ড না থাকার কারণে। তাই বৈষম্যহীন দেশ গঠনের অংশ হিসেবে মুখচ্ছবির বদলে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো আধুনিক পদ্ধতিতে পরিচয় যাচাইয়ের মাধ্যমে এনআইডি কার্ড প্রদানের দাবি জানান তারা।

পরে মানববন্ধন শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন মানববন্ধনকারীরা। এতে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে প্রথমত বিগত ১৬ বছর ধরে যে সমস্ত সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানসীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। দ্বিতীয়ত পর্দানসীন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুন্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা। এজন্য সকল ক্ষেত্রে পরিচয় শনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হবে। তৃতীয়ত পর্দানসীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় পুরুষ নয়, নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখতে হবে।

ব্রা/বা/২৫