যুক্তরাজ্য ইলিং সাউথ হলের সংসদীয় আসনের চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দল যুক্তরাজ্য শাখার সদস্য সচিব শাহ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘গ্রুপিং কম বেশি থাকবেই, যত বড় দল তত বড় গ্রুপিং। তবে দলের মধ্যে গ্রুপিং যদি সিরিয়াস পর্যায়ে যায় তাহলে থার্ড পার্টি সুযোগ নিয়ে যাবে।রাজনৈতিক ভাবে ভোটের মাঠে আমরা মার খেয়ে যাব। আমি মনে করি, সকল গ্রুপিং এর উর্ধ্বে হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দেশনায়ক তারেক রহমান, মেডাম খালেদা জিয়া ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিএনপি কে যারা ধারন করে, ধানের শীষ প্রতীকে যাদের ভালোবাসা আছে : তারা ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের জন্য কাজ করবে।
সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির কার্যালয় পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি কে সবচাইতে বেস্ট দল উল্লেখ করে এই দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে দেশমাতৃকার কাজে সম্পৃক্ত ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জেলার রিয়েল আওয়ামীলীগটাকে তারা( সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী রবিউল মুক্তাদির চৌধুরি ও তার সহযোগীরা) ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। অঙ্গসংগঠন গুলো চোর, চুট্টা, বাটপারে ভরে গিয়েছিল।জোরজবরদস্তি ও দখলদারে ভরে গিয়েছিল। যেই কারনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠন গুলো সন্ত্রাসের বাহিনীতে পরিণত হয়েছিল।
প্রত্যেক দলেই ভালো খারাপ মানুষ থাকে, কেউ একদম ফেরেশতা না। অপরাধের দিক দিয়ে আওয়ামীলীগ অনেক এগিয়ে, অনেক চ্যাম্পিয়ান। বিএনপি সেই তুলনায় অনেক কম। বিএনপির বদনাম করার জন্য জামায়াতে ইসলামী এখন উঠেপড়ে লেগেছে। এছাড়া তিনি আরও জানান, মানবতার সেবায় কাজ করার জন্য তিনি সব সময় প্রস্তুত। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন। বর্তমানে সাধারণ মানুষ দল হিসেবে বিএনপিকে চাচ্ছে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোঃ জুয়েল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ এর জেলা প্রতিনিধি মো:বাবুল মিয়া, দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক নয়া দিগন্ত ( মাল্টিমিডিয়া) এর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মো: খোকন মিয়া প্রমুখ।