
মুন্সি সাব্বির আহাম্মদ: ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এম.বি.বি.এস ডাক্তার নিয়োগ সহ ২০ শয্যাবিশিষ্ট করণ এখন সময়ের দাবি । এছাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো , যন্ত্রপাতি ও লোকবল নিশ্চিত করা অত্যাবশক । প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র রয়েছে। মানুষের চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা বাড়লেও এসব প্রতিষ্ঠানের সেবার মান তেমনটা বাড়েনি , রুগিদের রয়েছে নানা অভিযোগ । এটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এর আওতাধীন ও জেলার সিভিল সার্জনের অধীন পরিচালিত । কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও লোকবলের অভাবে জটিল কোন রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারছেনা এই প্রতিষ্ঠানগুলো । একটি ইউনিয়নে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪/৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন যদি রাষ্টীয় কোষাগার থেকে দেওয়া যায় তাহলে একটি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত একজন এম.বি.বি. এস ডাক্তার সহ প্রয়োজনীয় লোকবলের ব্যাবস্থা করা অসম্ভব কিছু নয় । এছাড়া গ্রামীন জনগণের স্বাস্থ্য সেবা বাড়ানোর লক্ষ্য বর্তমান সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে ১৯৯৮ সালে । কিন্তু এসব ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিষয়েও নানা অভিযোগ রয়েছে। যাদের রুটিন মাফিক চিকিৎসা দেওয়ার কথা তারা নিয়মিত না আসার কারণে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এই বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যাবস্থা না নিলে এর সুফল পাওয়া যাবে না । কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মীদের পদবির নাম ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার’ বা ‘সিএইচসিপি’। তাদেরও রয়েছে সরকারের কাছে দাবি দাওয়া ও অভিযোগ । একটি গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫/৬ জন শিক্ষকের বেতন যদি সরকারী ভাবে দেওয়া যায়, তাহলে গ্রামের একজন স্বাস্থ্য কর্মীর বেতন ও অন্যান্য সুবিধা কেন রাষ্টীয় ভাবে দেওয়া যাবে না । বর্তমান সরকারে সময়কালেই ২৬ হাজারের অধিক বেসরকারী রেজিষ্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ ও ২৫০০ এর অধিক বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে এম পিও ভুক্তকরণ করা হয়েছে, এছাড়া প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো সহ নতুন ভবনগুলো অত্যান্ত মনোরম করে গড়ে তোলা হচ্ছে। যা সর্ব মহলে অত্যান্ত প্রশংসিত । স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও সরকারের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম রয়েছে। কিন্তু ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে আধুনিয়ন ও কমপক্ষে একজন করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ সহ কমিউনিটি ক্লিনিকের ‘সিএইচসিপি’ পদ টি সরকারী করণ করলে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়ণ কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে। যেখানে ২০০১-০২ অর্থবছরে সরকারের বাজেট ছিল মাত্র ৪২,৩০৬ ( বিয়াল্লিশ হাজার তিনশত ছয় কোটি টাকা) , পরবর্তীতে দেশের সার্বিক উন্নয়ণকল্পে ২০১১-১২ অর্থবছরে সরকারের বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছিল ১,৬৩,৫৮৯ ( এক লক্ষ তেষট্টি হাজার পাঁচশত ঊনআশি কোটি টাকা ) যা বর্তমান ২০২১-২২ অর্থবছরের সরকারের বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৬,০৩,৬৮১ ( ছয় লক্ষ তিন হাজার ছয়শত একাশি কোটি টাকা ) । বিশাল এই বাজেটের স্লোগান- “জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদূঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ” তাই মহামারী করোনা মোকাবেলায় জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে জরুরী প্রয়োজনে অস্থায়ী ভিত্তিতে প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে পরবর্তীতে তাদের স্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হোক । এদেশের প্রান্তিক জনগেণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে উন্নয়ণ ও জনবান্ধব এই সরকার অতিদ্রুত সেই ব্যাবস্থা নিবে সেটাই সবার প্রত্যাশা ।
জীবন চলার পথে প্রায়ই আমাদের সামনে ঘটে যায় বিভিন্ন ধরণের অনাকাংক্ষিত ঘটনা, আমরা চাইলে প্রযুক্তির কল্যানে খুব সহজেই ঘটনাগুলোকে ক্যামেরা বন্দি বা ভিডিও রেকর্ড করে ফেলতে পারি এবং খুব দ্রুত অন্যদের কাছে সেই ঘটনার খবর ছড়িয়ে দিতে পারি।
ভাইরাল২৪.কম এমন একটি ওপেন নিইজ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি নিজেই কোন খবর বা ভিডিও পোস্ট করতে পারেন, আপনার সেই খবর বা ভিডিওটি হাজার হাজার মানুষ দেখবে, আপনার মাধ্যমে সবাই সেই ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারবে।
আমাদেরকে লেখা বা ভিডিও পাঠাতে "আপনিও হোন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক" পেইজ থেকে নিয়ম-কানুনগুলো ভালভাবে জেনে নিন।